গ্রামের স্কুলে শিক্ষক দিবস ও বাৎসরিক অনুষ্ঠানে সম্প্রীতির সুর
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
গ্রামের সহৃদয় মানুষদের জমিদানে ১৯৩২ সালে স্কুল গড়ে উঠেছিল। দেখতে দেখতে নয় দশক অতিক্রান্ত আমতা পুর্ব চক্রের ঘোষপুর নন্দলাল নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবস ও স্কুল বার্ষিকী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল স্কুলে। ছোটদের আবৃত্তি, নৃত্য, নাট্যাভিনয় দেখে আপ্লুত গ্রামের মানুষজন। একিসঙ্গে স্কুলের কৃতি ছাত্র ও প্রাক্তনীদের বক্তব্যে ফিরে এল স্কুলের মধুর স্মৃতি।
আমতা-রানিহাটি সড়কে সেনেরডাঙ্গা বাসস্ট্যাণ্ড। ওখান থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রায় এক কিমি। আঁকাবাঁকা ঢালাই রাস্তার দুপাশারি ঘর ও বড়-বড় পুকুর। এলাকায় তফসিলি সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসবাস বেশি। শিক্ষক দিবস ও স্কুল বার্ষিকী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ছোট মঞ্চ গড়া হয়েছে। সেখানেই স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসের খুদেদের আবৃত্তি,নৃত্য, সঙ্গীত, নাট্যাভিনয় মন ছুঁয়ে গিয়েছে উপস্থিত অভিভাবকদের। স্কুলে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয়। শ্রেণিকক্ষ মনীষীদের নামে নামাঙ্কিত। প্রথম শ্রেণি কক্ষে ঢোকার মুখে লেখা ক্ষুদিরাম ভবন, তৃতীয় শ্রেণি কক্ষে ঢোকার মুখে লেখা নেতাজি ভবন। শ্রেণিকক্ষের ভিতর দেওয়ালে বিপ্লবী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ছবি আঁকা। রয়েছে মনীষীদের মূল্যবান বাণী ও উপদেশ লেখা। অভিভাবকরা এদিন অনুষ্ঠান দেখে অত্যন্ত খুশি। এদিন পড়ুয়াদের সুশৃঙ্খলভাবে মঞ্চ উপস্থাপন করেন স্কুলের শিক্ষক সুরজিৎ চক্রবর্তী।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বরাজ কুমার দাস বলেন, স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যা ২৩৯। একজন প্যারা টিচার সহ মোট ৮জন শিক্ষক রয়েছেন। আমরা পড়ুয়াদের পড়শোনার পাশাপাশি স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুল স্পোর্টস, শিক্ষক দিবস, বসন্ত উৎসব পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্কুলের কৃতি ছাত্র ও প্রাক্তনী এবং অভিভাবকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্কুলের প্রাক্তনীদের কথায়, প্রত্যেকের কাছে স্কুলে পড়ার দিনগুলি মধুর একটা স্মৃতি। তবে কয়েক দশক আগেও গ্রামের এই স্কুলে আসার রাস্তা ছিল কর্দমাক্ত। ওই পথ দিয়েই দূর দূরান্ত থেকে কষ্ট করে ছেলেমেয়েরা পড়তে আসত। বহুদিন পর আজ অনেকেই এক হয়েছি আমাদের পুরনো স্কুলে। আনন্দটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।’