ষোল কলা পূর্ণ! চাটার্ড বিমানে চেপে বিজেপিতে যোগ টিম রাজীবের

কল্যাণ অধিকারী, কলকাতা

হাইলাইটস
❏ মাঘের মাঝামাঝি শুরু হল রাজীব-পর্বের উত্থান
❏ উন্নত বাংলার জন্য নতুন যাত্রা শুরু, রাজীব
❏ সোনার বাংলা গড়ার পাঠ নিলেন দিল্লি থেকে

থাকল না আর কোন রাখঢাক। অতঃপর বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরিয় পরিয়ে বিজেপিতে স্বাগত জানালেন স্বয়ং ‘দাদা’ অমিত শাহ। এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলেন। যোগদানের পরেই ফেসবুকে পোস্ট করলেন ‘উন্নত বাংলার জন্য নতুন যাত্রা শুরু করছি’।

বেশ কয়েক মাস ধরে বেসুরো ছিলেন। দলের মধ্যে থেকে বিভিন্ন সময় দলের ‘বিরুদ্ধে’ কথা বলেছেন। তাঁর স্পষ্ট কথা ‘স্তাবকতা করতে পারলে নম্বর বেশি। ভালকে খারাপ, খারাপকে ভাল বলতে পারি না তাই আমার নম্বর কম। অন্যদের বেশি।’ তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের প্রথম পর্ব থেকে প্রথম সারিতে ছিলেন। সুপ্রিমোর খুব কাছের ছিলেন। পেয়েছিলেন সেচমন্ত্রীর দায়িত্ব। এখন আর পুরনো কথা মনে করতে চান না। নতুন যাত্রা শুরু। উন্নত বাংলা গড়তে ‘দাদা’ অমিত শাহ জির সঙ্গে প্রায় পৌনে এক ঘন্টা কথা হয়েছে। বেশ কিছু পরামর্শ মিলেছে। রবিবার থেকেই নতুন উদ্যমে পথ চলা শুরু টিম রাজীবের।

ডোমজুড় বিধানসভা আসনে দু বারের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলানগর থেকে সলপ সর্বত্র দাদার অনুগামী। ডোমজুড়ের পাকুরিয়া অফিসে সকাল থেকে রাত্রি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেখা করতে আসেন বহু মানুষজন। দাদার অনুগামী লেখা পোস্টার ছেয়ে যাবার পরেও ডোমজুড় বিধানসভার আট থেকে আশি সকলের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একবার ডাক দিলে হাজারও ভিড় জমা হয়ে যায়। ওঠে মিলিত স্লোগান। একুশের বিধানসভা ভোটে ডোমজুড়ে দাঁড়িয়ে বুঝিয়ে দিতে চান তাঁর কাছে সবার আগে মানুষ তারপর দল!

মাঘ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফিরে আসা শীতে জোড়া ফুল ছেড়ে পদ্ম হাতে তুলে নিলেন স্পষ্টবক্তা রাজীব। তৃণমূল সুপ্রিমোর দেওয়া স্লোগান ভুলে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান আঁকড়ে ধরলেন। রবিবার ডুমুরজলা মাঠে যোগদান মেলার সভায় সশরীরে উপস্থিত থাকছেন সদ্য বিজেপি-তে যোগ দেওয়া টিম রাজীব। থাকবেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বহিষ্কৃত বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। নতুন দলে যোগ দিয়ে-ই অস্পষ্টতা দূরে সরিয়ে নতুন উদ্যমে মুকুল রায় জি, কৈলাস বিজয়বর্গীয় জি দিয়ে শুরু করেছেন পথ চলা। তৃণমূলে কিছু ভুল পদক্ষেপ ছিল। কিন্তু বিজেপিতে ভুল নয় সব ঠিক। রাজ্য কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য এক থাকলে উন্নয়ন হবে বেশি। ধর্মের বাঁধনে, দলতন্ত্রের শৃঙ্খল ছিন্ন করে, উন্নয়নের চাদরে পশ্চিমবাংলা কে সোনার বাংলা গড়বার শপথ নিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *