থলিয়া ইউনিয়ন হাইস্কুলের হীরকজয়ন্তী বর্ষের শুভ সূচনায় মাতোয়ারা বর্তমান এবং প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা

কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ

ঐতিহ্যবাহী থলিয়া ইউনিয়ন হাইস্কুলের হীরকজয়ন্তী বর্ষের শুভ সূচনাকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে উঠেছে গ্রামীণ হাওড়ার থলিয়া। এই উৎসবকে কেন্দ্র করেই এখন মাতোয়ারা বর্তমান এবং প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় সঙ্গীত, গীতি আলেখ্য ও তাৎক্ষনিক বক্তৃতা। একিসঙ্গে গ্রাম পরিক্রমায় বের হন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুলে হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল।

গ্রাম পরিক্রমা। নিজস্ব চিত্র।

সময়টা 1964 সালের 5 জানুয়ারি দামোদর নদের পশ্চিম পাড়ে থলিয়া জুনিয়র স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বর্গীয় রাধানাথ মান্না ও স্বর্গীয় শরৎচন্দ্র মান্না জমিদান করেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে এলাকার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপর বহু সময় কেটেছে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী-র সংখ্যা বেড়েছে। সেদিনকার জুনিয়র স্কুল এখন থলিয়া ইউনিয়ন হাইস্কুল উচ্চমাধ্যমিক নামে পরিচিত। থলিয়া, নিশ্চিন্দপুর, বিনলা, হানধারা, রসপুর সহ জয়পুর ও আমতা থানা এলাকার ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করেন। স্কুলের ফুটবল ও ক্রিকেট দল গড়ে উঠেছে। রয়েছে স্কুলের নিজস্ব ব্যান্ড।

প্রধান অতিথি বিধায়ক সুকান্ত পাল।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত জানা জানান, “হিরক জয়ন্তী বর্ষের শুভ সূচনা হল। রাধারানী পারাল স্মৃতি মঞ্চ উদ্বোধন হল। সেই সঙ্গে বর্ণাধ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একাধিক গ্রাম পরিক্রমা করা হয়। এর পাশপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপের বিয়য়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের সূচনা লগ্নের অনেক তথ্য তুলে ধরেন উপস্থিত অতিথিবর্গ।”

বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ছবি হাতে নিয়ে পরিক্রমায় ছাত্ররা। নিজস্ব চিত্র।

স্কুলের 60 বছরের ইতিহাসের পরতে পরতে রয়েছে সৃষ্টি কথা ও ঐতিহ্য। সমস্তটাই ছাত্রছাত্রীদের কাছে তুলে ধরা হয়। দামোদরের পশ্চিম পাড়ে স্কুলের অবস্থান হওয়ায় প্রায় নিয়ম করে বন্যায় ডুবে যায় একতলা। বন্ধ থাকে স্কুলের পঠনপাঠন। জম নামলে স্কুল পরিষ্কার করে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়। এভাবেই দীর্ঘ 59 বছর পেরিয়ে 60 বছর বয়স হল স্কুলের। এদিন স্কুল প্রাঙ্গনে স্কুলের কৃতি ছাত্র-ছাত্রী এবং প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়াদের নিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং তাৎক্ষনিক বক্তৃতা, সঙ্গীত, নৃত্য, আলোচনা সভা-সহ গুচ্ছ কার্যসূচি অনুষ্ঠিত হল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *