নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন স্কুলে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন বাবা-মা
কল্যাণ অধিকারী
প্রশাসনের ততপরতায় এক নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল। নাবালিকা আবারো স্কুলে যাবে, পড়াশোনা শিখবে পুলিশের কাছে প্রতিশ্রুতি দেন পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে আমতা বিধানসভার জয়পুর থানার কাশমলিতে।
গোপন সূত্রে খবর আসে এক নাবালিকার বিয়ে দেবার তোরজোড় শুরু করেছেন পরিবারের লোকজন। বর সমেত বরযাত্রী কিছু সময় পরেই আসছে। নাবালিকার বয়স সবে পনেরো। এরপরেই এতটুকু দেরি না করে জয়পুর থানার পুলিশের একটি টিম কাশমলির খড়িগেড়িয়াতে পৌঁছে যায়। ততক্ষণে পুলিশের গাড়ি আসছে খবর পেয়ে বাড়ির সামনে ফাঁকা করে সকলে গা ঢাকা দেয়। গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন নাবালিকার বাবা-মা। ওখানেই পুলিশের আধিকারিকরা ঘাঁটি গারেন। খবর পেয়ে চলে আসেন কাশমলি গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা। এরপর নাবিলাকার বাবা-মাকে খুঁজে আনা হয়।
জানা গেছে পাত্রের বাড়ি বোয়ালিয়ার দিকে। তাঁদের কেও সমস্তটা জানানো হয়। শুরু হয় বিষয়টি বাবা-মা ও পরিবারের লোকজনকে বোঝানো। এত কম বয়সে বিয়ে দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেইমতন পুলিশের কথায় রাজি হয় সকলে। আঠারো বছর হলে তবেই বিয়ে দেওয়া হবে নাবালিকার। সেইমতন কাগজে লিখে প্রতিশ্রুতি দেন বাড়ির লোকজন। ঘরে আর্থিক অবস্থা খারাপের কারণেই বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এমনটাই জানান নাবালিকার পিতা। স্কুলে যেতে চায় নাবালিকা, পুলিশের কাছে জানানোয় তাঁকে স্কুলে পাঠানোর সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান পুলিশ আধিকারিক। এরপরেই থানায় ফেরেন পুলিশ কর্তারা।