পাওনা টাকা আনতে এসে ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর হাতে খুন হাড়গোড় মিলল খালে
কল্যাণ অধিকারী
মঙ্গলবারের পর বুধবার। খালের জলে তল্লাশি চালিয়ে বছরখানেক আগের খুনের ঘটনায় মিলল হাড়গোড়। গ্রামের সুনসান এলাকায় হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জয়পুর থানার খালনায়। অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উদ্ধার হয় দেহের টুকরো। ঘটনায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন নবনীতা দাস নামে এক যুবতি এবং তাঁর মামা-মামি। মৃত যুবকের নাম গণেশ দাস।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বহু তথ্য উঠে আসে। সেইমতন ওই এলাকায় বহুবার গিয়ে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করেও দেহের সন্ধান মেলেনি। এক বছর পর অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্যেই মিলল দেহাংশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খালনায় যুবককে ডাকিয়ে এসে দুপুরে ভাত খাইয়ে ঘুমোতে বলা হয়। সন্ধে নামার আগেই টাকা নিয়ে বচসা শুরু হয় এরপরেই যুবককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। সন্ধে নামতেই খড়িবনে ফেলে দেওয়া হয় দেহ। কিন্তু দিন তিনেক পরেই গন্ধ ছাড়তে থাকায় দেহ স্টোনচিপস ভর্তি বস্তায় ভরে খালের জলে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত যুবকের দেওয়া শেষ তথ্যই খুনের ঘটনার পর্দা ফাঁস করে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিবাহ বিচ্ছিন্না নবনীতার সঙ্গে গণেশের পরিচয় হয় কলকাতায়। সুদের কারবার করা গণেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়তেই মোটা অংকের টাকা ধার হিসেবে নেয় নবনীতা ও পরে তাঁর মামা। সেই টাকা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। নবনীতার প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদ হয়েছিল। তারপরেই গণেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। তবে গণেশের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কিনা সে বিষয় স্পষ্ট নয়। গণেশকে নবনীতা তাঁর মামার বাড়ি খালনায় ডাকে। সেইকথা বাড়িতে জানিয়ে গিয়েছিল গণেশ। বেশ কয়েকদিন দাদার খোঁজ না পেয়ে পুলিশকে সবটাই জানিয়েছিলেন গনেশের ভাই কার্তিক। ঘটনায় যুবতী নবনীতা দাস তাঁর মামা সুকল্যাণ মালিক ও মামি মনিকা মালিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করছে পুলিশ।