ভোটের রাজ্যে সেতু বিপর্যয় রক্তচাপ বাড়ছে শাসকদলের
কল্যাণ অধিকারী ও ব্যুরো রিপোর্ট
সময় বলছে ১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভা ভোট শিয়রে। তার আগেই গুজরাটে বড়সড় সেতু বিপর্যয় ও মৃত্যুর মিছিল রাজ্যের শাসকদলের রক্তচাপ বাড়াবে বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের একাংশের।
গুজরাট সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সফরের মধ্যেই রবিবার সন্ধ্যায় মোরবীতে ভেঙে পড়ে শতাব্দী প্রাচীন ঝুলন্ত সেতু। এমন ভয়াবহ বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে রাজ্যের শাসকদল বিজেপির চাপ! বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, দুর্ঘটনায় দেড়শোর কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু নিয়ে শাসকদলকে ছেড়ে কথা বলবে না রাজ্যের বিরোধীরা। তার প্রভাব ভোটেও পড়তে পারে। যদিও ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ এখনো হয়নি। বিরোধীদের একাংশের আশঙ্কা পিছিয়ে যেতে পারে ভোটের তারিখ।
বর্তমানে বিজেপি সরকার রয়েছে গুজরাটে। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই অক্টোবর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন ২২ মে ২০১৪। তারপর ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। মোদীর পর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আনন্দীবেন পটেল, বিজয় রুপানি, ভূপেন্দ্র প্যাটেল। ২০১৭ সালের ভোটে বিজেপি পেয়েছিল ১০৭টি আসন। অন্যদিকে ৬৯ টি আসন জিতে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল কংগ্রেস। এবারে কড়া টক্কর দিতে চলেছে আম আদমি পার্টি। হিন্দু দেবতাদের ছবি নোটে রাখার কথা বলে এখন থেকেই হিন্দু ভোটে ভাগ বসানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন কেজরিওয়াল।
মাচ্ছু নদীর উপর সেতু বিপর্যয়ের পর থেকেই একের পর এক হাড় হিম করা ভিডিও প্রকাশ্যে আসছে। মিডিয়ায় দেখানো হচ্ছে ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ। অনেকেই প্রশ্ন তুলছে মানুষের জীবনের মূল্য তাহলে কোথায়? সংস্কারের পর কেনই বা পুরসভার ছাড়পত্র না নিয়েই ইংরেজ আমলে তৈরি মোরবীর ঝুলন্ত সেতু খুলে দেওয়া হল! শতাধিক মানুষের বদলে তিন-চারশো মানুষ উঠলো কীভাবে? আর্থিক সাহায্য মৃতদের পরিবারের চোখে জল মুছে দিতে আদৌ কি পারবে! প্রধানমন্ত্রীর সফরের কারণেই কি খুলে দেওয়া হয় মোরবী সেতু প্রশ্ন ঘুরছে সর্বত্র, উত্তরের দেখা মিলবে সামনের ভোটেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
collected pic