প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই আমতায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী, ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে ক্ষোভ
কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ
আমতার বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে আসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যেই আমতা-২ ব্লকের সেহাগোড়ী মোড়ে আসে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। জলের কাছে পৌঁছে যান তিনি। কথা বলেন মন্ত্রী পুলক রায়, ও বিধায়ক সুকান্ত পালের সঙ্গে। এরপর এক হাতে ছাতা অন্য হাতে মাইক ধরে বন্যার্তদের বার্তা দিলেন তিনি।
সকাল থেকেই কামারগড়িয়া কালীতলায় বাঁধ ভেঙে নারীট গ্রামে হু হু করে জল ঢুকছে। জল ঢোকার কারণে নতুন করে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত। জলবন্দি হাজারও মানুষ। সকাল থেকে পুলিশ প্রশাসন এলাকায় নজরদারিতে রয়েছে। এরমধ্যেই খবর আসে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। বৃষ্টির মধ্যেই প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের বিশাল টিম চলে আসে সেহাগোড়ীতে। তৃণমূল কর্মীরাও চলে আসেন। সাড়ে বারোটার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় সেহাগোড়ী ব্রিজ পার করে মোড় মাথায় এসে পৌঁছায়।
গাড়ি থেকে নেমেই ছাতা হাতে জলের কাছে পৌঁছে যান। জলে দাঁড়িয়ে কথা বলেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে। মন্ত্রী পুলক রায় ও বিধায়ক সুকান্ত পালের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কতগুলো গ্রাম পঞ্চায়েত জলমগ্ন জানতে চান বলে সূত্রের খবর। পানীয়জল ও ত্রাণ নিয়েও কথা হয়। এরপর এক হাতে ছাতা ও অন্য হাতে মাইক নিয়ে ডিভিসির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিভিসিকে বারেবারে বলার পরেও ওরা কোন কথা না শুনে ইচ্ছেমতো জল ছেড়ে যাচ্ছে। এই জল ছাড়ার ফলে এলাকার পর এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, জল যেভাবে বাড়ছে তাতে করে বন্যার্তদের আগে থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। এরপরেই বলেন, উদয়নারায়ণপুর, আমতা নিয়ম করে ডুবে যাচ্ছে। এই পরস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ডিভিসি খাল কে সংস্কার করা। যা অত্যন্ত প্রয়োজন।”
এ দিন খানাকুল যাবার কথা থাকলেও বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কমে আসায় ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টার ছাড়েনি। সড়ক পথেই আমতার সেহাগোড়ী চলে আসেন। আধ ঘন্টা সমস্ত পর্যালোচনা করে একটা দশ মিনিট নাগাদ কনভয় রওনা দেয় নবান্ন উদ্দেশ্যে। তখনও কয়েকশো গ্রামবাসী বৃষ্টির মধ্যেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে। ‘বৃষ্টি কেন তুফান আসলেও দিদিকে আটকাতে পারবে না’।