সাগরদিঘিতে হাসি ফুটল অধীরের, দলের হার আত্মতুষ্টির! প্রশ্ন তৃণমূলের অন্দরে
কল্যাণ অধিকারী
সাগরদিঘি উপনির্বাচন বাংলার রাজনীতিতে বিরাট পরিবর্তন না হলেও অনেক প্রশ্নের জন্ম দিল।
বাম-কংগ্রেস হাতে হাত ধরে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে লড়াই করেছে। এরপরেও আরো এক চিত্র ভোটের দিন ভেসে বিরিয়েছে। তা হল কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস এবং বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার হাত মেলানোর ছবি। এটাই তৃণমূলের কাছে প্রশ্নের। তবে কি শাসকদলের প্রার্থীকে হারাতে বাম-কংগ্রেস ও বিজেপি একসঙ্গে লড়েছে!
তৃণমূল হেরেছে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে। ভোটের শতাংশ কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ। কেন এমনটা হল। সাম্প্রতিক বিষয় কাজ করেছে মনে করছে বিরোধীদের একাংশ। তাঁদের যুক্তি একের পর কেলেঙ্কারি উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ধরপাকড়। নেতাদের জেল যাত্রা। বাম-কংগ্রেস জোট। সব মিলিয়ে তৃণমূলের হার হয়েছে! যদিও তৃণমূলের একাংশের যুক্তি দলে নেতাদের অতিরিক্ত আত্মতুষ্টি হারের অন্যতম কারণ! তবে দল এখনি মুখ খুলতে চাইছে না। যা বলবেন তা নেত্রী।
কংগ্রেস প্রার্থী জয়ের পিছনে আরো এক কারণ রয়েছে। অধীর চৌধুরীর প্রাক্তন ‘গড়’ বলেই পরিচিত সাগরদিঘি! বিধানসভায় খাতা খুলতে অধীরের গড়কেই বেছে নিয়েছে কংগ্রেস। সমস্তটাই ছিল গোপনে। অধীর ম্যাজিক কাজ করতেই তা প্রকাশ্যে চলে আসছে। এরপরেই বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে নেতাদের একাংশ। সামনের পঞ্চায়েত ভোট ও লোকসভা ভোটে সাগরদিঘি মডেল হতে চলেছে মনে করছেন সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বাংলায় প্রায় প্রতিটি লড়াই বামেদের সঙ্গেই থেকেছে কংগ্রেস। সাগরদিঘি জয় হবার আগে থেকেই কাস্তে-হাতুড়ির সঙ্গে হাত আঁকা পতাকা তরতরিয়ে উড়ছে। সঙ্গে আবীর খেলা। এমন দৃশ্য কালীঘাটেও পৌঁছেছে বলে মনে করছে বিরোধীদের একাংশ। যা পঞ্চায়েত ভোটের আগে অনেকটাই কোনঠাসা করেছে রাজ্যের শাসকদলকে। একি সঙ্গে বিরোধীদের অনেকটাই অক্সিজেন এনে দিয়েছে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে জয়ী বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস।