সিঙ্গুরে টাটাদের চলে যাওয়া বামেদের জন্য নয়ঃ মাস্টারমশাই, পাল্টা ফিরহাদ বলেন ‘এই বয়সে ওঁর বিশ্রাম নেওয়া উচিত’

কল্যাণ অধিকারী

টাটা ছেড়ে যাওয়া সিঙ্গুর আবারোও আলোচনার শীর্ষে। টাটাদের সিঙ্গুর ছেড়ে যাওয়ার জন্য মমতার নিশানায় বামেরা। এরপর থেকেই মুখ খুলেছেন বাম-ডান সকলে। তবে সিঙ্গুর আন্দোলনে মমতার সঙ্গে থাকা মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যে সরগরম করে দিয়েছে সিঙ্গুরকে।

ধর্নামঞ্চ থেকে তীব্র আন্দোলনের কারণেই টাটারা সিঙ্গুর ছাড়ে! মাস্টারমশাইয়ের এহেন মন্তব্য ঘৃতাহুত করেছে। সেদিনের তৃণমূলের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া মাস্টারমশাই একুশের বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। বেচারামের বিপক্ষে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তবে ভোটের ফল বেরতেই দেখা যায় বিপুল ভোটে হেরেছেন প্রবীণ নেতা। এতদিন পরে সিঙ্গুর নিয়ে তাঁর মন্তব্য আখেরে বিজেপির মন্তব্য বলেই মত তৃণমূলের একাংশের মত।

সিঙ্গুর প্রকল্প হলে হুগলি জেলার পাশাপাশি রাজ্যে শিল্পের জোয়ার আসতো। ২০০৮ সালে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন রতন টাটার একটা মন্তব্য শিল্পের জোয়ারের বদলে ভাটা এনে দিয়েছিলেন। কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে রতন টাটা বলেছিলেন, মমতার জন্যই সিঙ্গুর ছাড়লাম। অষ্টমীতেই সিঙ্গুর জুড়ে সেই সময় বিষাদের সুর বেজে যায় সিঙ্গুর জুড়ে। তবে অনিচ্ছুক কৃষকদের জন্য মাটি কামড়ে আন্দোলন মমতাকে রাজ্যে ক্ষমতায় এনে দিয়েছিল। নতুন সরকার গঠনের পরেই সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ায় দেশজুড়ে কৃষকদের জমি রক্ষার ‘ত্রাতা’ হয়ে উঠেছিলেন মমতা। এতগুলো বছর পর মমতার করা মন্তব্য ফের রাজ্য জুড়ে শিরোনামে সিঙ্গুর পটভূমি।

মমতার প্রথম সরকারে মন্ত্রী থাকা মাস্টারমশাই এখন খাতায় কলমে বিজেপি নেতা। বৃহস্পতিতেই তিনি কড়া মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, সিপিএমের জন্যই টাটারা চলে গিয়েছিল, তাতে আমি সহমত নই। তাঁর কথায়, সিঙ্গুর আন্দলনের সময় কারখানার কাছে মঞ্চ বেঁধে যেভাবে আন্দোলন করা হয়েছিল তার জেরেই সিঙ্গুর ছেড়ে চলে গিয়েছিল টাটারা।
মাস্টারমশাইয়ের বক্তব্য তাঁর পুরনো দলের নেতা তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম খন্ডোন করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ‘মাস্টারমশাইয়ের বয়স হয়েছে। কী বলছেন উনি জানেন না। সেই সময় উনি তো আমাদের সঙ্গেই আন্দোলনে ছিলেন। মাস্টারমশাই শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। এই বয়সে ওঁর বিশ্রাম নেওয়া উচিত’।

collected pic

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *