মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের আগে শরৎ সদনে নিরাপত্তা-সহ যাবতীয় আয়োজন সরজমিনে দেখলেন জেলাশাসক

কল্যাণ অধিকারী

প্রশাসনিক বৈঠক করতে বৃহস্পতিবার হাওড়ায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক একদিন আগে থেকেই সাজো সাজো রব হাওড়া ময়দান সংলগ্ন এলাকা ও শরৎ সদন চত্বর। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেইমতন নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে। এ দিন দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য।

করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই জেলায়-জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ছিল মধ্যমগ্রামে। বৃহস্পতিবার রয়েছে হাওড়ায়। কি বার্তা দেন তা দিকে তাকিয়ে শহরবাসী। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার সঙ্গে পুরভোট হাওড়ায়। সেক্ষেত্রে বড়সড় ঘোষণা থাকতে পারে বৈঠকে। অন্যদিকে জেলার সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলাশাসক, নগরপাল, পুলিশ প্রশাসন সহ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন বৈঠকে। তাঁদের কি কি নির্দেশ দেন সে দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তার আগে বুধবার শরৎ সদনের কক্ষে পৌঁছে যান জেলাশাসক মুক্তা আর্য। পরিদর্শন করেন সমস্তটা। মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা সহ প্রশাসনিক বৈঠকের যাবতীয় আয়োজন খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক।

প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, জেলার উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি ঠিক কতটা হয়েছে জানতে চাইবেন তিনি। ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে গ্রামোন্নয়ন নিয়ে এমনটা মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা। এর পাশাপাশি রাজ্যে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের উদ্বোধন মঙ্গলবার করেছেন সে বিষয় নিয়েও আলোচনায় উঠতে পারে। সবকটি বিষয় নিয়েই ব্যস্ততা তুঙ্গে। ক’দিন আগেই রাজীবের নাম উল্লেখ না করে তাঁকে হাওড়ায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে পুরনো সতীর্থদের কি বার্তা দেন সেদিকেও নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। সব মিলিয়ে হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে বুধবার থেকেই প্রস্তুতি তুঙ্গে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *