শেষ ভালো ছিল ওঁদের

কল্যাণ অধিকারী

প্রতিদিন রাত সাতটার পরে হাওড়া স্টেশনের চেনা দৃশ্য কিছুটা হলেও গতকাল ছিল আলাদা। ২০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সন্ধে ৭টা পঁচিশের লোকাল রওনা দেয়। টিকিয়াপাড়া, দাসনগর, রামরাজাতলা একের পর এক স্টেশন পেরিয়ে গেলেও চল্লিশ শতাংশ পার করেনি যাত্রী। সাঁকরাইল পৌঁছে স্টেশনে নামলাম আমি আর ক্যামেরাম্যান প্রীতম দু’জনে। খাঁ খাঁ স্টেশনে কেউ কোথাও নেই।

রাতের হাওড়া স্টেশনের চেনা দৃশ্য কাল ছিল ভিন্ন। লোকাল ট্রেনের ঘোষণা অনেকটাই কম। ১, ২, ৩ থেকে সাত নম্বর প্ল্যাটফর্ম অবধি নেই লোকাল ট্রেন। ৮ নম্বরে দাঁড়িয়ে বিভূতি এক্সপ্রেস। দক্ষিণের শাখায় ১৩, ১৪ এবং ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে তিনটি লোকাল দাঁড়িয়ে। যাত্রী ২০ শতাংশেরও কম। আমরা কয়জনা ছবি ও তথ্য নিতে হাজির। তার আগে ক্যামেরায় উঠে এসেছে সাবওয়েজুড়ে সবজি বাজারে হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র। কেনাকাটা নেই বললেই হয়। ফলে বাস থেকে নেমে ট্রেন ধরবার জন্য ধাক্কাধাক্কি তা হয়নি।

সন্ধে ৭টার পর লোকাল ট্রেন মিলবে না এই ঘোষণার জেরে দিনভর নাভিশ্বাস ওঠে যাত্রীদের। অধিকাংশ যাত্রী শেষ লোকালে গলদঘর্ম হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর যারা শেষ ঘোষণা শুনে রাতের লোকাল ধরেছেন, তাঁরা কাল অনেকটাই ফাঁকা ট্রেনে বাড়ি ফিরেছেন। অনেকটাই স্বস্তিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *