গঙ্গাসাগরে ভিড় হবে তো! আশা নিরাশায় দোদুল্যমান সাধুসন্ত
কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ
গঙ্গাসাগর মেলা বাকি হাতে গোনা ক’দিন। এখন থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কপিলমনির আশ্রমের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সাধুসন্তরা। করোনা পরিস্থিতির পর অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এরমধ্যেই পড়শি রাজ্য চিনে চমকাচ্ছে করোনা। তারপর এ বছর রয়েছে কুম্ভ মেলা। গঙ্গাসাগর মেলায় লোক সমাগম হবে তো আশা নিরাশায় দোদুল্যমান সাধুসন্তরা।
মেলায় বেশিরভাগ সাধুসন্ত আসেন রোজগারের আশায়। কিন্তু প্রত্যাশামতো ভিড় হচ্ছে না এমনটাই তাঁদের অভিযোগ! তবে এ বছর পরিস্থিতি বদলাবে এমনটাই মনে করছেন তাঁরা। সরকারের পক্ষ থেকে বাবুঘাটে প্রথম ক্যাম্প করা হয়েছে। এখান থেকেই সরাসরি রওনা দেবেন গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে। তারপর কাকদ্বীপ লট-৮ ও নামখানা হয়ে পৌঁছে যাবেন গঙ্গাসাগর।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের গঙ্গাসাগর মেলায় রেকর্ড ভিড়ের আশা করছেন তাঁরা। এর প্রধান কারণ লকডাউন কেটে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। যোগাযোগ ব্যবস্থাও সরকারের দৌলতে অনুকূল। এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় পূণ্যার্থীর সংখ্যা পৌঁছাবে ৩০ লাখে! সেইমতন প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে।
মেলার আয়োজন খতিয়ে দেখছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্গিমচন্দ্র হাজরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা। সুন্দরবন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত মালি। ইতিমধ্যে মেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ কয়েক বছরে মেলায় আশানুরূপ ভিড় না হওয়ায় হতাশ হয়েছেন সন্ন্যাসীরা। রোজগারে তাঁদের টান পড়েছে। তবে পরিস্থিতির যে বদল ঘটবে আশা রাখছেন সাধুসন্তরা।