করাচিতে বিমানের জরুরী অবতরণ করিয়েও বাঁচানো গেল না হৃদরোগে আক্রান্ত যাত্রীকে
রাজন্যা নিউজ ব্যুরো
পাকিস্তানের বিমানবন্দরে বিমানের জরুরী অবতরণ করিয়েও বাঁচানো গেল না হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে। মৃত ব্যক্তির দেহ নিয়ে বিমান ফিরল লখনউয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে।
সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ইন্ডিগোর বিমানটি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শারজা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল গন্তব্য ছিল লখনউ। সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলেও বিমানটি যখন পাকিস্তানের আকাশে সেই সময় এক যাত্রী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। পাইলট পাকিস্তানের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি অবতরণের অনুমতি চাওয়া হয়। জরুরি অবতরণ করে ইন্ডিগোর বিমানটি। তবে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচানো যায়নি। বিমানবন্দরের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও জানা গেছে, ৬৭ বছর বয়সী ওই যাত্রীর নাম হাবিববুর রেহমান। তাঁর দেহ নিয়ে সকাল ৮টা ৩৬ মিনিট নাগাদ করাচির জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানটি ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি কলকাতার একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ায় ইসলামাবাদে জরুরি অবতরণ করেছিল। ইসলামাবাদ এয়ারপোর্টের সঙ্গে কথা বলে জরুরি অবতরণের অনুমতি মিলেছিল। পুলওয়ামাতে জঙ্গি হানার ঘটনার পর নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে বালাকোটে ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার পর থেকে ভারতের জন্য আকাশপথ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পাকিস্তান। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বিমান এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমানকেও আকাশ পথ ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান। তবে পারস্পরিক বন্ধুত্বের বার্তা দিতে শ্রীলঙ্কা সফরের যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিমানকে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেয় ভারত সরকার।
