সাঁকরাইলে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আটক

রাজন্যা নিউজ ব্যুরো

হাওড়ার সাঁকরাইলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদককে খুনের ঘটনায় এক অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করেছে। একটি টিভি চ্যানেলে এই দাবি করেন খুনে অভিযুক্ত নৌশাদ নামের ওই যুবক। তার দাবি, মালতি রায় নামে এক আইএনটিটিউসি নেতা পুরো ঘটনা সাজান। এরপরেই নৌশাদকে আটক করে নিয়ে যায় নাজিরগঞ্জ থানার পুলিশ।

ওয়াজুল খানের পরিবারের পক্ষ থেকেও দলেরই নেত্রী মালতি রায়ের দিকে আঙুল তোলা হয়েছিল। এফআইআর-এ নাম ছিল তাঁর এবং পিটিএস রাজা নামে এক যুবকের। ওই টিভি চ্যানেলে নৌশাদ দাবি করেন, ঘটনার পরেই সে গা ঢাকা দিয়েছিল মেটিয়াবুরুজ। সিসিটিভি তে যে সমস্ত ছবি দেখা গিয়েছিল তাতে নৌশাদের ছবিও ছিল। এরপর আজ এলাকায় ফিরে আসলে নৌশাদকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। তাদের কাছেই জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনার কথা জানায়। পুলিশের পক্ষ থেকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা হচ্ছে ঘটনার মূল চক্রী কে?

নৌশাদের দাবি ঘটনায় মোট ১৫ জন যুক্ত ছিল। টাকা দেবার কথা ছিল পিটিএস রাজা নামে এক যুবক। সে না দিলে মালতী দেবে। চারজন মারবার জন্য দায়িত্ব ছিল। ঘটনার সময় তারা কিছুটা পিছনের দিকে ছিল। বাকিরা ছিল সামনের দিকে। কাজ সম্পূর্ণ হবার পর নৌশাদকে নিয়ে যায় মেটিয়াবুরুজ। সেখানেই কদিন গা ঢাকা দেয়। তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সিসিটিভি ফুটেজে এখনও অনেকের ছবি দেখা গিয়েছে। তারমধ্যে নৌশাদকে বৃহস্পতিবার পুলিশের কথায় আটক করা হয়েছে। খুনে অভিযুক্ত সে একটি টিভি চ্যানেলে দাবি করেছে নৌশাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *