উদয়নারায়ণপুরবাসীর বন্যার স্মৃতি এখনো টাটকা, বর্ষার ধান চাষের মুখেই বন্যার ভ্রুকুটি! বিপর্যয় মোকাবিলা টিম এসে পৌঁছেছে

কল্যাণ অধিকারী

অক্টোবর ২০২৩, সেপ্টেম্বর ২০২৪ ভয়াবহ বন্যার ছবিটা ভোলেনি উদয়নারায়ণপুর, আমতা, ভাটোরার মানুষজন। সেইসময়কার ছবিটা ফিরিয়ে দিচ্ছে হাওড়ার এই সমস্ত এলাকাকে তাও জুন মাসে এই প্রশ্নই এলাকায় ঘুরছে। মানুষের মনে পুজোর গন্ধ এখনো না আসলেও বন্যার ভ্রুকুটি ছড়িয়েছে। ওঁদের কথায়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বারবার দেখেছে ডিভিসি কীভাবে লক্ষ-লক্ষ কিউসেক জল ছেড়ে ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন করেছে লক্ষ মানুষকে। তারপর আরও এক বন্যার ভ্রুকুটি। চরম ক্ষতির আশঙ্কায় প্রহর গুনছে কৃষকরা।

উদয়নারায়ণপুর, আমতা, ভাটোরা দ্বীপাঞ্চল সর্বত্র কৃষকদের একটাই চিন্তা কি এমন ঘটলো হাজার-হাজার কিউসেক জল ছাড়তে হল ডিভিসি কে। বর্ষার শুরুতে বন্যার সম্মুখীন হলে সংসার চালাবেন কেমনে। উদয়নারায়ণপুর, ঘোলা, শিবানীপুর এলাকায় আলুর পরে কেউ বাদাম আবার কেউ চটজলদি ধান চাষের জন্যে বীজতলা তৈরি করে ফেলেন। বর্শার ধান চাষ তারাতাড়ি না করলে বন্যার জলে সব শেষ করে দেবে। কিন্তু কে জানতো জুন মাসেই বন্যার আশঙ্কা দেখা দেবে। তাই অনেকে বাধ্য হয়েছে ধান চাষের বীজতলার কাজ পিছিয়ে দিতে। কোথাও আবার বীজতলা সম্পূর্ণ তার মধ্যেই চিন্তার ভাঁজ দু একদিনেই দামোদর গ্রাস করবে না তো!

উদয়নারায়ণপুর ব্লকের এক আধিকারিক বলেন, ডিভিসি জল ছাড়ছে, সেই জল এসে পৌঁছাতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেদিকে নজর রয়েছে। আমরা কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। সরকারি ভাবে সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে প্রতি মুহুর্তের আপডেট আদান-প্রদান চলছে। আজ রবিবার এসে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টিম। গ্রামবাসী ও কৃষকদের পাশে রয়েছে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *