বিজেপি নয় প্রতিপক্ষ বামেরাই! প্রতিবাদ সভা থেকে অধীর-সুজনদের তীব্র কটাক্ষ পরিবহন মন্ত্রী’র
কল্যাণ অধিকারী
সাম্প্রতিক কর্ণাটক নির্বাচনে বিজেপিকে হঠিয়ে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বাম–কংগ্রেস শূন্যতা সরিয়ে জোড়াতালি দিয়ে ফিরেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বারবার ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির দিকে। তারপরেও সমাবেশ-প্রতিবাদ সভা সবক্ষেত্রেই তৃণমূলের নিশানায় থাকছে বামেরা। বিজেপির বিরুদ্ধে গ্রামীণ হাওড়ার তৃণমূলের প্রতিবাদ সভা থেকেও রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীর কটাক্ষের লক্ষ্য বাম-কংগ্রেস।
একশো দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করে আমতা বিধানসভার খালনায় প্রতিবাদ সভা করল তৃণমূল। একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিলেন বিধায়করা। তারমধ্যেই বাম-কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। বিধায়ক সুকান্ত পাল, অরুনাভ সেনদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে গ্রামবাসীদের সামনে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরলেন। দক্ষ জনসংযোগ ও সুবক্তা হিসাবে জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী সর্বজনবিদিত। রবিবার সন্ধ্যায় বক্তব্য দিতে গিয়ে বাম-কংগ্রেস কে তীব্র কটাক্ষ করলেন স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।
মন্ত্রী বক্তব্যে বলেন “সিপিএম পার্টির কর্মীও নেই ভোটও নেই। শুধু কুৎসা আছে এবং অপপ্রচার আছে। ১৯৭৭ থেকে ৩৪ বছর পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। ৫০ হাজারের উপরে বিরোধী দলের কর্মী, কংগ্রেস কর্মী এবং পরবর্তীকালে তৃণমূল কর্মীরাও খুন হয়েছে সিপিএম পার্টির হাতে। সেই সিপিএমের সাথে এক মঞ্চ শেয়ার করে মিটিং করে। তখন ভাবি অধীর চৌধুরীরা, অসিত বাবুরা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। যে সিপিএম পার্টি ইন্দিরা গান্ধীর ছবি দেওয়ালে এঁকে ডাইনি লিখত, রাজীব গান্ধীকে বোফর্সের দালাল বলেছিল সিপিএম পার্টি। তাঁদের সঙ্গে একসাথে ভোটে লড়ছে। কারণ একটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে হবে। কিন্তু একা কোন দলের গণতান্ত্রিকভাবে হারানোর ক্ষমতা নেই। তাই সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি সব একসঙ্গে জোট বেঁধেছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টা আসন পেয়ে গেল। বিজেপি তো ছিল না পশ্চিমবঙ্গে তারা কিভাবে ভোট পেয়ে গেল। বিশ্লেষণ করে দেখলাম সিপিএম-কংগ্রেস সব ভোট বিজেপিকে দিয়ে দিয়েছে। নিজেরা নিঃস্ব হয়ে বিজেপিকে তারা ১৮টা আসন পাইয়ে দিয়েছিল। এই বাংলাকে কিভাবে মানুষের মধ্যে হিংসা ছড়িয়ে, বিভেদ ছড়িয়ে কুৎসা করে চলেছে বিজেপি। আর তাকে ভিতরে ভিতরে সহযোগিতা করছ সিপিএম-কংগ্রেস। তার প্রতিবাদে আমাদের লড়তে হচ্ছে। একশো দিনের টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্র একশো দিনের ৭হাজার কোটি টাকা এক বছর ধরে আটকে রেখে দিয়েছে। বাংলাকে দেবে না ওঁরা।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাজ্যে শিক্ষক চাকরি দুর্নীতি, ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে বামেরা থাকছে। একিসঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্যে বামেরা আন্দোলনের গড়ে তুলছে। তাঁদের সঙ্গ দিচ্ছে কংগ্রেস। এই কারণেই বাম-কংগ্রেসকে এক আসনে বসিয়ে আক্রমণ তীব্র করছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা।