ছটপুজোয় দড়ির ঘেরাটোপ গঙ্গায়! রামকৃষ্ণপুর ঘাট সহ গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চল পরিদর্শনে মন্ত্রী
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
আসন্ন ছোট পুজোয় গঙ্গাঘাটে পুণ্যার্থীদের পুজো দিতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় মঙ্গলবার পরিদর্শন করলেন মন্ত্রী অরূপ রায়। ছট পুজো জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করা উচিত ছিল কেন্দ্র সরকারের। কিন্তু তেমনটা করেনি কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছুটি ঘোষণা করেছেন। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এরাজ্যে উৎসব পালন হয়। ঘাত পরিদর্শনের পর বললেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়া করন দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায়।
আসন্ন ছট পুজোয় হাওড়ায় গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে আগত লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর ধর্মীয় কর্ম পালন করবেন। মঙ্গলবার বিকেলে শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাট এবং তৎসংলগ্ন গঙ্গার তীরবর্তি অঞ্চল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। পবিত্র ছট পুজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে যত দিন যাচ্ছে পুণ্যার্থীদের ভিড় ততই বাড়ছে। শুধু জেলা নয় অন্য জায়গা থেকেও বহু পুণ্যার্থী আসেন হাওড়ার ঘাটে পুজো দিতে। পুলিশ প্রশাসন এত সুন্দর ব্যবস্থা করেন তাতে করে পুণ্যার্থীদের সুবিধা হয়। নদীতেও লঞ্চে করে প্রশাসনের নজরদারি থাকে। আমরাও ঘুরে ঘুরে সমস্তটা দেখি। তাঁদের যাতে কোনোরকম অসুবিধা না হয় তারজন্য প্রশাসন সর্বদা প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, ছটপুজো উপলক্ষে ঘাটগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি আলো দিয়ে সাজানো হচ্ছে। গঙ্গার ঘাট থেকে জলের কিছুটা দূরে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। যাতে করে পুণ্যার্থীরা দূরে না চলে যান। ঘাটে পানীয় জলের বন্দোবস্ত থাকবে, পুলিশের ক্যাম্প, ফায়ার ক্যাম্প থাকে। প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা সহ সব ধরণের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এরপরেই কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, ছট পুজোয় জাতীয় ছুটি হিসাবে ঘোষণা করা উচিত ছিল কেন্দ্র সরকারের। কিন্তু তেমনটা করেনি কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছুটি ঘোষণা করেছেন। পুরসভা ও পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘাট এবং আশপাশের এলাকার আবর্জনা দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে। ঘাটে সিসিক্যামেরা লাগানো হবে। গঙ্গায় লঞ্চে নজরদারি চলবে। পুজোর দিন ঘাটে দড়ি দিয়ে কোমর জল পর্যন্ত ঘেরা থাকবে, যাতে কেউ গভীর জলে চলে যেতে না পারেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা এবং প্রয়োজনে ডুবুরি রাখা হবে।