মন্ত্রিসভায় পুলক রায়, অরূপ রায়, মনোজ তিওয়ারি ব্রাত্য থাকলেন কালীপদ মন্ডল, বাদ পড়লেন নির্মল মাজি

কল্যাণ অধিকারী

হাইলাইটস
গ্রামীণ হাওড়ার মাটি জোড়াফুলে ভরিয়ে দেওয়ার ‘পুরস্কার’ পেলেন পুলক রায়
ব্রাত্য থাকলেন পাঁচ বারের বিধায়ক কালীপদ মন্ডল
দাদা, কাজ প্রিয় মানুষ, মন্ত্রী না হলেও উন্নয়ন করে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য দাবি, নির্মল মাজির সমর্থকদের

‘দাদা’ মন্ত্রিসভায় শুভেচ্ছার বন্যা সমর্থকদের। প্রতিটি মুহূর্তে কাছে পাওয়া বিধায়ক ‘ঘরের ছেলে’ পুলক রায় পূর্ণমন্ত্রী বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস গ্রামীণ হাওড়ায়। দিদি তাঁদের কথা রেখেছেন। রবিবার সন্ধে থেকে শুভেচ্ছার ফোন পৌঁছেছে ‘দাদা’ পুলক রায়ের মোবাইলে।

গ্রামীণ হাওড়ার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ফল মেলে ভোটে। তিনি ২৮হাজার ৪৩৮ ভোটে জিতেছেন। একিসঙ্গে গ্রামীণ হাওড়ার মাটি জোড়াফুলে ভরিয়ে দিয়েছেন। গ্রামীণ হাওড়ার প্রতিটি আসনে বিরাট ব্যবধানে জয় এসেছে তৃণমূলের। ‘পুরস্কার’ হিসাবে মন্ত্রিসভায় উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পুলক রায়। কাজের মানুষ, কাছের মানুষের তকমা পেয়েছেন আগেই। এবার পেলেন মন্ত্রিত্ব। সোমবার সকাল দশটার পরেই নেবেন শপথ।

তৃতীয় দফায় আবারও মন্ত্রী হচ্ছেন অরূপ রায়। তিনি মধ্য হাওড়া থেকে জয়ী হয়েছেন। শিবপুর কেন্দ্র থেকে জিতে আসা মনোজ তিওয়ারি মন্ত্রিসভায় শপথ নেবেন। তবে ব্রাত্য থাকছেন শ্যামপুরের পাঁচ বারের বিধায়ক কালীপদ মন্ডল। ২০০১ সাল থেকে জিতে আসা প্রবীণ বিধায়ক কালীপদবাবুর নাম মন্ত্রিসভায় না থাকায় হতাশ হয়েছেন সমর্থকরা। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি বোয়ালিয়া ব্রিজ। মন্ত্রী হলে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করতেন কালীপদবাবু। কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছেন এলাকার মানুষজন।

অন্যদিকে, মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য নির্মল মাজির। সমর্থকদের কথায়, এলাকার উন্নয়ন করতে মন্ত্রী হতে হয় না। দাদা, কাজ প্রিয় মানুষ। কাজ করতে ভালবাসেন। উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার বাসিন্দাদের জন্য পানীয়জল, বিদ্যুৎ, আলো, ঢালাই রাস্তা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যেভাবে উন্নয়ন করেছেন তা এলাকার মানুষের মুখে মুখে। আমতা হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আগামী দিনে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র যেতে হবে না। সমস্তটা আমতা হাসপাতালে মিলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *