ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির নায়ক দেবাঞ্জনের রহস্য আরও ঘনীভূত
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ দেবাঞ্জন দেব এক ব্যক্তি ও আধা ডজন জাল ছড়ানো পরিচয়। মারণ রোগ থেকে রক্ষা পেতে ওই জাল ব্যক্তির দয়াশীল সাহায্য নিয়ে কয়েকশো মানুষ শরীরে নিয়েছে বিতর্কিত ডোজ। শরীরে যে কতটা ক্ষতি হবে জানেন না তাঁরা। জাল ব্যক্তির হাত লম্বা ও বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। ক’দিন পরে সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। তারপর আবার চলে আসবে দাম্পত্য ও ‘পরকীয়া’র টানাপড়েন। পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতাদের দাম্পত্য জীবন আম জনতার শ্বাস আটকে দেবে। ব্যাপারটা হচ্ছে আপনাকে বাধ্য করবে শ্রীময়ী-পিঙ্কি-কাঞ্চনের মতো বিতর্কিত কিছু অধ্যায় গেলাতে। আপনি দায়িত্বশীল ব্যক্তি। লকডাউনের ফাঁদে হাসফাস করছেন। টিভি চালিয়ে যে বসবেন তারও নিস্তার নেই। শ্রীময়ীদের চাপ আপনার ওপরেও। হাতে চা আর চোখ বাঁকিয়ে জিজ্ঞাস্য ‘এমন কেউ আছে না-কি’ জাতীয় প্রশ্ন। যাইহোক মূল বিষয় টা হচ্ছে ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির নায়কের এতবড় ব্যাপারস্যাপার কেউ জানত না ? কেনই বা কারও নজরে আসলো না কেন ? প্রশাসনের এতবড় পদ নিজের নামের পাশে জ্বলজ্বল করে লেখার দুঃসাহস পায় কি করে প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র। মনে হচ্ছে না-কি সর্ষের মধ্যে লুকিয়ে আরও বেশকিছু ব্যক্তি। আসল ভ্যাকসিনের বদলে দেওয়া হল পাউডার গোলা জল! এরপরেও আর কি শুনতে বাকি থাকবে। একজন ব্যাক্তি নিজেকে আইএএস বলছে। পুরসভার উঁচু পদের আধিকারিক জানান দিচ্ছে। ঘুরে বেড়াতেন সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে। লালবাতি তারপর নীলবাতি গাড়ি। ভুয়ো ভ্যাকসিন দিচ্ছে। তারপরও আরও কত কি রটনা। দেবাঞ্জন না-কি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। দেশি-বিদেশি পরিচালক প্রযোজকদের সঙ্গে ওঠা বসা। উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি অর্জন করে একেবারে আইএএস হয়ে এসেছেন। তা-ও মাত্র আঠাশেই এতকিছু। এ কি যা-তা ছেলে। এক্কেবারে সোনার টুকরো। এহেন ছেলে সকলের কাছে নিজেকে তুলে ধরবে না তা কি করে হয়। কসবায় ভ্যাকসিন ক্যাম্প করাই নয় তার আগে আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজেও ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করেন দেবাঞ্জন। ভ্যাকসিন(ভুয়ো) প্রদান করে মানুষের কাছে মসিহা হবার চেষ্টা করা ব্যাপারটা কী ? এত মানুষের কাছে আস্থা অর্জন করে চলেছেন কেন এরপরেও রাজ্যের মানুষের বুঝতে অসুবিধা হয়নি এর মাথায় কোনও প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে কি-না। প্রশ্ন হচ্ছে ভুয়ো আইএএস সেজে কি লাভ হত ? জলের মতন টাকা খরচ করার উদ্দেশ্য কী ? ভ্যাকসিন দিয়ে আস্থা অর্জন করেন কেন ? তদন্ত যত এগোচ্ছে দেবাঞ্জনের একের পর এক কীর্তি সামনে আসছে। প্রশ্ন অনেক উত্তর তদন্ত শেষে জানতে পারা যাবে। আপাতত তাঁর ঠিকানা কলকাতা পুলিশের লোহার গারদের ভিতর। আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত পুলিশ পুলিশের তত্ত্বাবধানে থাকবে দেবাঞ্জন। |