মালিকের হুমকি কাজ ছাড়িয়ে দেওয়ার! চড়া ভাড়া গুনে অটোয় চেপে কাজে যাচ্ছে মহিলা কর্মীরা
কল্যাণ অধিকারী
দুটি অটো পাল্টে কাজে আসতে হচ্ছে। যাওয়া-আসায় ভাড়া চলে যাচ্ছে আশি টাকা। লকডাউনে কারখানা খুললেও যাত্রা যন্ত্রণায় কাতর ধুলাগড়-আলামপুর এলাকায় কাজে আসা মহিলা শ্রমিকদের। প্রতিদিন দুশো টাকা রোজে কাজ করা অসীমা, জবা, রেশমারা বাস না চলায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সরকার সদয় হোক একযোগে আর্জি ওঁদের।
আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কিছু নিয়ম শিথিল করলেও রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকছে। চলবে বাস-ট্রেন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাস না চলায় অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছেন ধূলাগড় এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় কাজ করা মহিলা শ্রমিকরা। ধূলাগড় থেকে রানীহাটি অটোয় ভাড়া দশ টাকা। ওখান থেকে আমতা অন্য অটো। ভাড়া তিরিশ টাকা। প্রতিদিন যাওয়া-আসায় খরচ হয়ে যাচ্ছে আশি টাকা। দুশো টাকা রোজে কাজ করে অর্ধেক টাকা গাড়ি ভাড়ায় চলে যাচ্ছে সংসার চালাতে সমস্যায় পরেছেন ওঁরা। মালিকপক্ষ মাইনে তো বাড়ায়নি। উলটে কাজে না আসলে বসিয়ে দেবার কথা শোনান হচ্ছে। বাধ্য হয়ে বেশি টাকা ভাড়া গুনে অটোয় করে প্রতিদিন কাজে আসতে হচ্ছে। তাও সময়ে অটো মিলছে কোথায় প্রশ্ন তুললেন আমতার বাসিন্দা অসীমা জানা। কিছু সরকারি বাস চালু থাকলে সমস্যার কিছুটা হলেও সুরাহা হত জানান রেশমা খাতুন। তাঁর কথায়, জামাইষষ্টির পরের দিন শুধু আসতেই ৫০ টাকা বেরিয়ে গিয়েছে। ফেরার সময়ে কত খরচ হবে, জানি না। এভাবেই দশদিন হয়ে গেল যাতায়াত করতে হচ্ছে। এরিমধ্যে সারা মাসের যাতায়াতের খরচ বেরিয়ে গেছে। বাকি দিনগুলি কিভাবে কাজে যোগ দেবে তার চিন্তাই মাথায়।’’
যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, অটো-টোটো চালকরা দিনের বেলায় ভাড়া বেশি নিচ্ছে। রাতের দিকে তো ডবল ভাড়া চাইছে। দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। বহু কারখানা খুলে গিয়েছে। সবাই তো আর বাইকে করে যেতে পারছে না। বাধ্য হচ্ছেন অটোয় চেপে যেতে। অনেকেই মনে করছে আগামী দু সপ্তাহ সমস্যার মধ্য দিয়েই যাতায়াত করতে হবে যাত্রীদের। অটো চালক অর্জুন মণ্ডলের কথায়, লকডাউনে কদিন অটো না চালিয়ে ঘরেই বসে ছিলাম। সবকিছু যখন চলছে সেক্ষেত্রে আমরাই বা বসে থাকি আর কতদিন। সকালের দিকে যাত্রী হচ্ছে ভালই। ভাড়া পঁচিশের বদলে তিরিশ টাকা নিচ্ছি। না হলে পোষাচ্ছে না।
গ্রামীণ পুলিশের এক আধিকারিক জানান, যাত্রীদের যাতায়াতের সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে। তবে বেশকিছু রুটে অটো কিছু চলছে খবর পাওয়া যাচ্ছে। নজরদারি চলছে।