দুর্যোগের উত্তরে দিদি’র পরশ পেল পাহাড়ের মানুষ
কল্যাণ অধিকারী
উত্তরবঙ্গকে কখনোই তিনি আলাদা চোখে দেখেন না। যখনই বিপদ এসেছে ছুটে গিয়েছেন। বিপদের মুখে পড়া সাধারণ মানুষের পাশে দিদি হয়ে থেকেছেন। এবারে দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক, দুধিয়া-সহ পার্বত্য অঞ্চল এবং ডুয়ার্সে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধস জনিত ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। কার্যত পাহাড় কাঁদছে! সোমবারই উত্তরবঙ্গে চলে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোম মিরিকে ও মঙ্গলবার তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দুধিয়ায় পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান। দুধিয়ায় মৃতদের পরিবারগুলির সদস্যদের হাতে ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। শুধুই কি পরিদর্শন আর আর্থিক সাহায্য ? না, পাহাড়বাসীর পাশে দিদির ভূমিকায়। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে মিরিকের দিকে যত দূর যাওয়া যায়, তিনি যাবেন সাফ জবাব মমতার।
রবিবার থেকে বন্যায় বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের একটা বড় অংশ। মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। সোমবার উত্তরবঙ্গে মমতার পৌঁছানোর আগেই, নাগরাকাটায় দুর্গত এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি। একসময় বামপন্থী ছিলেন খগেন মুর্মু বা শঙ্কর ঘোষ। তাই তাঁদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছে সিপিএম। শিলিগুড়ি পৌঁছে থেমে থাকেননি মমতা। সোম ও মঙ্গল মিরিক দুধিয়া-সহ পার্বত্য অঞ্চলের একাধিক এলাকায় পরিস্থিতি পরিদর্শন করছেন। মিরিকের দুধিয়ায় সেতু নির্মাণ দ্রুত করবার জন্য ১৫ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন তিনি। পাহাড়ের মানুষের কষ্ট হলে তিনিইবা ভালো থাকেন কেমনে!
উত্তরের প্রবল বৃষ্টিতে বালাসন, তিস্তা ও মহানন্দা নদীর জল ফুলে ভাঙনের মুখে নদীপাড়ের গ্রামগুলি। ওখানকার মানুষজনের কথা শুনেছেন মমতা। মঙ্গলবার উত্তরকন্যাতেই রাত্রিবাস করবেন। আজ বুধবার তাঁর কলকাতা ফিরবার কথা। এদিন মৃতদের পরিবারকে চেক তুলে দিয়েছেন। দিদি হয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘টাকা জীবনের বিকল্প নয়। কিন্তু আমরা চাই, এই কঠিন সময়ে যেন কেউ মুখাপেক্ষী হয়ে না থাকেন। তাই সরকারের তরফ থেকে এটুকু সহযোগিতা করা আমাদের সামাজিক কর্তব্য। দিদি পাশে আছেন, এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কি! পাহাড়ের মানুষ অভিভাবককে পেয়েছে এটাই তো চেয়েছিলাম দাবি পাহাড়ি মানুষদের।