বিজেপিতে শুভেন্দুর উত্থান মুকুলের কাছে অস্বস্তির কারণ ছিল, স্বস্তিতে নেই বিজেপি রাজ্য সভাপতিও

কল্যাণ অধিকারী

ত্রিমুখী লড়াই থেকে কয়েকঘন্টা আগেই ছিটকে গিয়েছেন মুকুল রায়। বিজেপিতে এখন হেভিওয়েট নেতা দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী। প্রথম জন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ। দ্বিতীয় জন বিরোধী দলনেতা। মুকুল তৃণমূলে ভিড়তেই মুখোমুখি লালমাটির দিলীপ ঘোষ আর বালুমাটির শুভেন্দু অধিকারী। সমানে সমানে ‘ওজনের’ লড়াই।

সাম্প্রতিক সময়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছের হয়ে উঠছেন অধিকারী বাড়ির মেজ ছেলে। বারেবারে দিল্লিতে ডেকে পাঠাচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্বকে না জানিয়েই দিল্লির বিমানে পাড়ি দিচ্ছেন। মোদী-শাহ-নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করছেন শুভেন্দু। এতে করে ভিতরে ভিতরে লড়াই শুরু হয়েছে। মুকুল রায় রাজনীতি ভালো বোঝেন। তিনি ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। কিন্তু যেভাবে দিল্লির কাছের হয়ে উঠছেন শুভেন্দু, তাতে করে বছর ঘুরবার আগেই রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে তাঁকে এমনটাই গুঞ্জন। একদিকে শুভেন্দুর উর্দ্ধমুখি গতি অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় কাজ করবার গতি হারাচ্ছিলেন মুকুল রায়। লড়াই থেকে বেরিয়ে সপুত্র পুরনো দলে ফিরেছেন।

বঙ্গ বিজেপির নেতা-নেত্রীদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন শুভেন্দু। ডাক পড়ছে সর্বত্র। মুকুল দল ছাড়তেই বিজেপি-​কে ‘জঞ্জাল’ মুক্ত করুন ডাক দিয়েছেন বৈশালী ডালমিয়া। তা তিনি বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি কে না বলে শুভেন্দুর কাছে আর্জি রেখেছেন তিনি। ফলে নেতা-নেত্রীদের কাছে গুরুত্ব বাড়ছে বিরোধী দলনেতার। এর পাশাপাশি দলের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু শুভেন্দুর সঙ্গে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে না। পাশাপাশি শুভেন্দু শিবিরের প্রতিনিধি সংখ্যাও বাড়ছে। ফলে কোথাও না কোথাও দলে এক নম্বরের লড়াই চলছিল দিলীপ-মুকুল এর সঙ্গে শুভেন্দু’র।

লড়াই থেকে সরে তৃণমূলে গিয়েছেন মুকুল রায়। লড়াইটা এখন আর ত্রিমুখী নয় ৷ পুরোদস্তুর দ্বিমুখী। আগামী দিন বহু প্রশ্নের উত্তর দেবে এই লড়াই। সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক কারবারিরা।

‘সুখের সেদিন’ চিত্র সংগৃহীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *