লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট কুলিয়াঘাটে সেতুর দাবিতে পথে ‘প্রাক্তন’

কল্যাণ অধিকারী

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে গ্রামীণ হাওড়ায় ইস্যু হতে চলেছে জয়পুরের কুলিয়াঘাটে মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপর কংক্রিটের সেতু নির্মাণ। পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে দেবার চেষ্টায় এখন থেকেই বিরোধী শিবিরের নেতারা! রবিবার পদযাত্রা করে সেতুর দাবি তুলল কংগ্রেস শিবির। পদযাত্রায় পা মেলালেন খোদ প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র।

মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপর কুলিয়াঘাটে দীর্ঘদিন ধরে দাবি উঠেছে কংক্রিটের সেতু নির্মাণ। কিন্তু কোন অজানা কারণেই দ্বীপাঞ্চলের মানুষজন পাকা সেতু পায়নি। বাঁশের তৈরি সেতুই একমাত্র ভরসা। বছরে বার দুয়েক জলের তোড়ে ভেসে যায়। নৌকাই তখন ভরসার যান। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে রবিবার সেতুর দাবি নিয়ে কুলিয়া থেকে ভাটোরা শিবতলা পর্যন্ত পদযাত্রা করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র। এরপরেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়দের একাংশ। দু বারের বিধায়ক থেকেও কেন সেতু নির্মাণ করতে পারলেন না তিনি!

গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ভোটের সময় আসলেই কুলিয়া সেতু নির্মাণ করার কথা মনে পড়ে। বাকি সময় যেই কে সেই। তাঁদের আরো অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন তাই নিজেদের অস্তিত্ব বোঝাতে সেতুকেই ইস্যু করে ওঁরা পথে নেমেছেন। সেতু নির্মাণ নিয়ে শুনেছি টেন্ডার হয়েছে। তারপরেও দ্বীপাঞ্চলের মানুষদের কাছে স্বপ্নের সেতুর কাজ শুরু হয়নি। দ্বীপাঞ্চলের প্রকৃত উন্নয়ন করতে সেতু নির্মাণ দ্রুত করতে হবে। কুলিয়ায় বাঁশের সেতু পার করেই গোপিগঞ্জ বাজারে যান জয়পুরের বাসিন্দা ইনামুল হোসেন, খালনার অর্ধেন্দু রায়, মাছ ব্যবসায়ী প্রীতম বেরা। তাঁদের প্রত্যেকের কথায়, সেতু নির্মাণ হলে কুলিয়াঘাট অবধি চলাচল করা গাড়ি গোপিগঞ্জ ঘাটের এপার অবধি চলে যাবে। সুবিধা হবে হাজার হাজার মানুষের। কিন্তু এখানে ভোট আসলেই নড়াচড়া করে রাজনৈতিক নেতারা। সেতু নির্মাণের গুরুত্ব বুঝে সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে পথে নামুক। তবেই সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

কংগ্রেসের দাবি, কুলিয়া সেতু নির্মাণের দাবিতে ভাটোরা অঞ্চল, জি.বি. চিৎনান অঞ্চল ও কাশমলি অঞ্চলের কংগ্রেসের কর্মীদের সঙ্গে পদযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন বর্যীয়ান প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র। তিনি বোঝেন সেতু নির্মাণ হলে মানুষের ঠিক কতটা সুবিধা হবে। অন্যদিকে তৃণমূলের নেতাদের একাংশের দাবি, আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল সেতু নির্মাণ নিয়ে তৎপর। এটা একটা বড় কাজ। টেন্ডারের কাজ হয়েছে। কিছু জমিদাতাদের টাকাও দেওয়া হয়েছে। বিরোধীরা উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করছে। আসলে ওঁদের প্রতি মানুষ আস্থা রাখছে না তাই অস্তিত্ব বোঝাতে পদযাত্রায় নেমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *