বৌভাতের অনুষ্ঠানের মাঝেই আত্মঘাতী হলেন শিক্ষক, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নববধূ

কল্যাণ অধিকারী

হাইলাইটস
বৌভাতের দিনই গলায় দড়ির ফাঁস শিক্ষক পাত্র’র
রায়দিঘির কৌতলা গ্রামের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
মেয়েটির জীবন এইভাবে কেন ছাড়খার করে দিল প্রশ্ন তুলছেন একাংশ
শিক্ষিত যুবকের এই পরিণতিতে অবাক এলাকার মানুষজন

বৌভাতের আনন্দ বদলে গেল শোকে। বৌভাতের দুপুরে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া বরের দেহ উদ্ধার ঘিরে শোকে পাথর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির শঙ্কর রোড এলাকায়। ৩২ বয়সী মৃত ওই যুবকের নাম রামেশ্বর হালদার। পেশায় ছিলেন স্কুল শিক্ষক। বাড়ি রায়দিঘির কৌতলার উত্তরপাড়ায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিয়ে সম্পূর্ণ করে মঙ্গলবার নববধূ কে নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন গোচরণ হাইস্কুলের ভূগোলের শিক্ষক রামেশ্বর। ওইদিনকেই ছিল বৌভাত। দুপুর অবধি সমস্ত কিছু ঠিক ঠাক ছিল। পরিবারের সকল লোকজন চলে এসেছিল গেস্ট হাউসে। দুপুরের পর ঘটে যায় অঘটন। যখন খোঁজাখুঁজি শুরু হয় ততক্ষণে সব শেষ। ঘটনার কথা জানতে পেরে আলতলার নববধুর পরিবারের লোকজন চলে আসেন গেস্ট হাউসে।

পরিবারের আনন্দঘন মুহূর্ত রূপ নিয়েছে শোকে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুপুরেও সমস্তকিছু ঠিকঠাক ছিল। পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা হাসি-আনন্দে মশগুল। কখন যে চিলেকোঠার ওই ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পায়নি। দীর্ঘ সময় বরের খোঁজ না পেয়ে খোঁজ চলে। দরজা ভাঙতেই ঘরের মধ্যে রামেশ্বরের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান লোকজন। কেন এমন ঘটনা ঘটাল কিছুই বুঝতে পারা যায়নি। নববধূর দিকে তাকানো যাচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে সমানে কেঁদে চলেছে রামেশ্বরের বাবা-মা। এমন একজন শিক্ষিত যুবকের এই পরিণতি অবাক করেছে এলাকার মানুষজনকে।

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়দিঘি থানার পুলিশ। নববধূ ও তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেছে। আত্মহত্যা সহ তদন্তের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *