স্কুলে খাতা জমা দিতে বেড়িয়ে ছয় দিন ধরে নিখোঁজ কিশোরী, হদিশই দিতে পারেনি পুলিস

কল্যাণ অধিকারী

ছয় দিন আগে স্কুলে পরীক্ষার খাতা জমা দিতে সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় কিশোরী। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি। মেয়েকে না পেয়ে এবার সিআইডির স্মরণাপন্ন হতে চায় পরিবার। ঘটনাটি গ্রামীণ হাওড়ার জয়পুর থানার মৈনান গ্রামের।

মাম্পি নামেই গ্রামে পরিচিত বছর চোদ্দোর কিশোরী। টালির ছাউনি ঘরে বাবা-মা ও দাদার সঙ্গে থাকে। খড়িয়প উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার সূত্রপাত চলতি সপ্তাহের সোমবার। মা কাকলী কোলে লোনের কাজ করেন। মেয়ে বাড়িতে জানিয়েছিল স্কুলে পরীক্ষার খাতা জমা দিতে যাবে। সেইমতন মা চলে গিয়েছিল ব্যাঙ্কে মহিলাদের লোনের কাজ করে দিতে। দুপুর তিনটে নাগাদ ফিরে মেয়ে না আসায় এর ওর কাছে মেয়ের খোঁজ করতে থাকে। পাশাপাশি বাড়ির যে মেয়েটির সঙ্গে স্কুলে যায় তাকেও জিজ্ঞেস করে মেয়ের খোঁজ মেলেনি। স্কুলে গিয়ে জানতে পারেন কিশোরী স্কুলে যায়নি ওইদিন। সন্ধের পরে জয়পুর থানায় জানায়। মঙ্গলবার জয়পুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়।

মা কাকলী কোলে জানান, শ্রাবণ মাসে পাশের বাড়ির এক মেয়ের বিয়ে হয়। সেই জামাই মেয়ের স্কুলের আগেই দাঁড়িয়ে ছিল। সাইকেল ফেলে মেয়েকে নিয়ে বাইকে নিয়ে চলে যায়। এক অপরিচিত নম্বর থেকে ওই কথা রাতে ফোন করে জানায়। আরও জানায় বাগনান এলাকায় একটি মন্দিরে পাশের বাড়ির জামাইয়ের বন্ধুর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তারপর থেকে আর কিছুই জানতে পারেনি। ওই ফোন নম্বরটি বন্ধ। জয়পুর থানায় জানানোয় জামাইকে তুলে নিয়ে আসে। কিন্তু আমার মেয়েকে নিয়ে যে পালিয়েছে তার ও মেয়ের কোন খবর নেই। নাওয়া খাওয়া সব ভুলে গিয়েছি। সবে চোদ্দ বছরে পা দিয়েছে। কোথায় গেলে পাব কিশোরী মেয়েকে কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

কিশোরীর পিতা ধ্রুবনারায়ণ বাবু বলেন, ছয় দিন হয়ে গেল মেয়ের কোন খোঁজখবর নেই। উৎকণ্ঠায় থাকতে থাকতে শরীর ভেঙে পড়েছে। স্কুলে যাব বলে বেড়িয়েছিল মেয়ে। তাকে নিয়ে কোথায় পালিয়ে গেছে বুঝতে পারছি না।হদিশই দিতে পারেনি পুলিশ। যাচ্ছি আর ফিরে আসছে। বাধ্য হয়ে সিআইডির দারস্ত হব বলে ঠিক করেছি। জয়পুর থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটির একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পারা গেছে। রাত অবধি ফোনে কথা বলতো। তাকে ধরবার চেষ্টা চলছে। তদন্ত চলছে।    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *