বাড়ছে দামোদর নদের জল, আগাম বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন সেচমন্ত্রী
কল্যাণ অধিকারী
নিম্নচাপের প্রভাবে ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে দামোদর নদে জল বাড়ছে আমতায়। ইতিমধ্যে নদীর পাড়ের গায়ে জল পৌঁছে গিয়েছে। জল বাড়তে থাকায় মাজিমল্লাররা নৌকা পাড়ে তুলে নিয়েছে। এরমধ্যে বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়েছে ডিভিসির ছাড়া জল। শুক্রবার ডিভিসি কর্তৃপক্ষ মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ায় চিন্তা বাড়িয়ে হাওড়ার দামোদর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।
ডিভিসি জল ছাড়লে উদয়নারায়ণপুর, আমতায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়। মাইথন এবং পাঞ্চেত দু’টি জলাধার থেকে প্রায় ৭ হাজার এবং ১১ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। কিন্তু এরপরে আরও জল ছাড়া হলে সেক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা থাকবে। ইতিমধ্যে উদয়নারায়ণপুর ও আমতার আগাম বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জলসম্পদ ভবনে বৈঠক করেছেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উদয়নারায়ণপুর বিধানসভার বিধায়ক সমীর পাঁজা। ছিলেন আমতা বিধানসভার বিধায়ক সুকান্ত পাল এবং উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নির্মল মাজি। সূত্রের খবর ওই আলোচনা সভায় নিম্ন দামোদরের পরিস্থিতি পাশাপাশি একাধিক খাল নিয়ে ও ক্যানেল নিয়ে ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে দেখা গেল আমতা বন্দর, রসপুর, বরদা সহ বিভিন্ন এলাকায় পাড়ের গাঁ ঘেঁষে বইছে দামোদর। জল বেড়েছে সেহাগোড়ী-বাকসি ক্যানেলে। নদীর গায়ের জমিতে থাকা বাদাম, কচু ধানের বীজতলা ডুবে গিয়েছে। বেলা থেকে বৃষ্টি কমেছে। রাতে এবং রবিবার বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি ঘোরালো হবার আশঙ্কা। সেহাগোড়ী এলাকায় সেচ দপ্তরের একটি টিম পৌছে জলস্তর মেপেছে। পাশাপাশি নদী বাঁধের কার্যক্ষমতাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। আমতা-১ ব্লক সূত্রে জানা গেছে, নদীর জলস্তর বাড়ছে। পরিস্তিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে। আমতা-২ ব্লক এলাকায় ক্যানেল ও দামোদর সরজিমনে খতিয়ে দেখেছেন বিধায়ক সুকান্ত পাল। মাটি বস্তায় ভরে রাখা হয়েছে। উদয়নারায়ণপুর বিধানসভা এলাকায় নদী বাঁধ খতিয়ে দেখেছেন বিধায়ক সমীর পাঁজা। সমস্তরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্যা প্রতিরোধে মেগা প্রজেক্টের কাজ করা হয়েছে।