প্রধানমন্ত্রীর কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণায় জেলাজুড়ে খুশি সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা

কল্যাণ অধিকারী

শুক্রবার সকাল ৯টা পনেরো মিনিটে দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল, পথসভা, মিষ্টিমুখ করলেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এই জয় কৃষকদের। প্রধানমন্ত্রীর নৈতিক পরাজয় হয়েছে বলে কটাক্ষও শোনা গেল।

বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশ দেখেছে হাজার হাজার কৃষকের আন্দোলন। প্রায় এক বছর ধরে কখনো দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার আম্বালা তো কখনো গাজিপুর সীমানা। বারেবারে পুলিশের বাধা মুখে পড়তে হয়েছিল কৃষকদের। কিন্তু লড়াই থেকে এতটুকু পিছিয়ে আসেনি। উল্টে লড়াইয়ের মনোবল আরও বেড়েছে কৃষকদের। শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা শুনে জেলার সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী প্রত্যেকে খুশি। তাঁদের কথায়, ‘ কৃষক বছরের পর বছর ঝড়-বৃষ্টি মাথায় করে দিন-রাত নিরলস পরিশ্রমের ফসল দেশের অন্নের সংস্থান করে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বলেই মিলছে খাদ্যদ্রব্য। গর্ব করে বলি আমাদের দেশের কৃষক আমাদের গর্বের। তাঁদের মাথা নুইয়ে দেওয়ার প্রয়াস কতটা ভয়ংকর ঝড় বইতে পারে লক্ষ্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী! শক্তি দিয়ে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে কৃষকদের নোয়াতে পারা যায় না তা আবারও প্রমাণিত।

এ দিন কৃষি আইন প্রত্যাহার হওয়ার সমর্থনে মিছিল ও পথসভা হয় বাউড়িয়ায়। অন্যদিকে সাঁকরাইলে ব্লক কংগ্রেস সভাপতি হান্নান মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, “প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের আন্দোলনের কাছে মাথা নত করেছেন। যে আইন মানুষ চায় না। তা বাতিল করা আগেই প্রয়োজন ছিল।” গ্রামীণ হাওড়ার তৃণমূল নেতাদের একাংশের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকে কৃষকদের পাশে। সিঙ্গুর হোক বা দিল্লি সবসময় কৃষকদের লড়াইয়ে সমর্থন জুগিয়েছেন। দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে থেকে বার বার বার্তা পাঠিয়েছিলেন তিনি। এর আগে সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক চাষিদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেন তিনি। সেইসময় ২৫ দিন অনশন করেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  প্রধানমন্ত্রীর কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণায়  জয়ের আনন্দয় মেতেছে আজ গোটা দেশ। এই জয় বুঝিয়ে দিয়েছে দেশে কৃষকের থেকে বড় কেউ নেই।   

কৃষি আন্দোলনে থাকা কৃষকদের ছবি সংগৃহীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *