দামোদর মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে দামোদরেই প্রাণ গেল যুবকের
কল্যাণ অধিকারী
দামোদর মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে দামোদর নদেই প্রাণ গেল যুবকের। মঙ্গলবার রাতের দুর্ঘটনায় শোকে কাতর পরিবারের লোকজন। নড়বড়ে বাঁশের সেতুই প্রাণ কেড়েছে অভিযোগ পরিবারের। যদিও রসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ‘যুবকের খোঁজে রাতেই প্রশাসন তল্লাশি শুরু করে দেয়’।
নিখোঁজ যুবকের খবর রাত থেকেই ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। দামোদর নদের পাড়ে ভিড় জমান স্থানীয়রা। চলে আসেন পরিবারের লোকজন। বুধবার সকালে দেহ উদ্ধার হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শোকার্ত পরিজন। আমতা থানা ও জয়পুর থানা এলাকার মধ্যে হওয়ায় দেহ উদ্ধারে প্রশাসনিক ভাবে দুই থানার অফিসার ঘাটে হাজির ছিলেন। আনা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের টিম। সকাল আটটার কিছু পরেই দেহ উদ্ধার করে নৌকায় করে আনা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রসপুর ফুটবল মাঠে দামোদর মেলার শেষ দিন ছিল। ওই মেলায় গিয়েছিলেন বিকেবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিনলার বছর সাতাশের যুবক তন্ময় দাস। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মেলা দেখে ফিরছিলেন। থলিয়া ঘাট পার হওয়ার সময় বাঁশের সেতু থেকে পড়ে যান। স্থানীয়দের অনুমান জলে পড়ে যাওয়ার পর হতে পারে মির্গি বা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে যান তিনি। যে কারণে স্রোতহীন নদী থেকে উঠে আসতে পারেননি। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়ন্ত পোল্লে। তিনি জানান “রাতেই ঘটনাস্থলে চলে আসেন আমতা ও জয়পুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানো হয়। সকালে দেহ উদ্ধার করেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ডুবুরি। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।”
স্থানীয়দের একাংশের কথায়, ‘এখানে কংক্রিটের সেতু নেই। বাঁশের সেতুই সম্বল। মেলার কারণে ভিড় ছিল ঘাটে। কোনভাবে নড়বড়ে বাঁশের সেতু থেকে পড়ে যান তিনি। প্রশাসনের কাছে পাকা সেতুর জন্য আবেদন রাখা হয়েছে।
