অকাল ‘লকডাউন’ দীঘায়! খাঁ খাঁ করছে সৈকত শহর
কল্যাণ অধিকারী
সৈকতের ত্রিসীমানায় ঘেঁষা নিষেধ। একপ্রকার বাধ্য হয়েই দীঘা ছেড়ে ঘুরমুখো লাখো পর্যটক। পরিস্থিতি যা তাতে করে সর্বত্র অঘোষিত লকডাউনের ছবি। হোটেলের সামনেও ভিড়ের ছবি উধাও। যতটা ব্যস্ততা স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে।
শুক্রবার ছিল বছরের শেষ দিন, শনিবার পয়লা, রবিবার ছুটির দিন ফলে তিনদিনের ছুটিতে জনপ্লাবন নেমেছিল দীঘায়। কিন্তু সরকারের বিধিনিষেধ কড়াকড়ি হতেই ভিড় কমতে থাকে। সপ্তাহের প্রথমদিন দীঘার পাড় এখন ধুধু করছে। পরিস্থিতি যা হোটেল ব্যবসায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বালিগঞ্জ থেকে দীঘায় এসেছিলেন জিতেন শ্রীবাস্তব। কিন্তু প্রশাসনের নিয়মের জেরে হোটেল ছেড়ে পরিবার নিয়ে ঘরমুখো। একি অবস্থা বসিরহাটের লালকমল শেখের। বছর বত্রিশের যুবক শনিবার রাতে দীঘায় এসে পৌঁছায়। মঙ্গলবার ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু পরিস্থিতির জেরে সোমবার বেলার ট্রেন ধরে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।
বছর শেষে লক্ষাধিক পর্যটকের ভিড়ে জমজমাট ছিল দীঘা। খুশি ফিরেছিল ব্যবসায়ীদের মুখে। কিন্তু রবিবার বিকেলের পর থেকেই সমস্তটা বদলে যেতে থাকে। সন্ধে থেকেই সমুদ্রে নামা নিষেধ করে দেওয়া হয়। সৈকতে যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ। শেষ পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। ট্রেনে বাসে প্রচন্ড ভিড়। বহু ক্ষেত্রে বাস ভাড়া বেড়েছে এমনটাও শোনা যাচ্ছে পর্যটকদের মুখে। সোমবার বেলা থেকেই লকডাউনের স্মৃতি উসকে দিয়েছে খাঁ খাঁ করতে থাকা দীঘা।