হাজার হাজার যোগ্য ছেলে-মেয়ে চাকরিহারা হল চাকরি গেল অনামিকার
কল্যাণ অধিকারী ও ব্যুরো রিপোর্ট
চাকরিহারাদের পাশে থাকবার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! কিন্তু যে রায় আজ শোনানো হয়েছে তাতে করে মানুষের কাছে শিক্ষকদের প্রতি যে সম্মান ছিল তাতে কি আঘাত হানবে না! বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চ রাঙিয়ে বসে থাকেন ভালো-মন্দ শিক্ষক। তারপর মাইক হাতে ভালো-ভালো কথা শোনান। সমাজের ভালো দিক তুলে ধরেন। আজকের দিনটা তাঁদের জীবনে কালি টেনে দিল। আজ শুধু নয় আগামীদিনেও অনেক প্রশ্নের সম্মুখিন তাঁদেরকে হতে হবে।
অনেকেই খুশি হয়েছেন হাজার-হাজার শিক্ষকের চাকরি যাওয়ায়। কিন্তু জেনুইন ক্যান্ডিডেট কতটা পরিশ্রমের পর চাকরি পায় বিষয়টি বোঝেন? স্কুলে চাকরি করছেন শুধু নয়, তাঁদের হাত দিয়েই শিক্ষিত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। নতুন-নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। কিন্তু কেউ কি তাঁদের কথা শুনলো নাকি বুঝলো!
একটা সময় চমকে দিয়ে অঙ্কিতার চাকরি দেওয়া হয়েছিল ববিতাকে। তারপর ববিতার চাকরি কেড়ে দেওয়া হয় অনামিকাকে। সেই অনামিকাও এ বার চাকরিহারা হলেন। চাকরিটা শুধু রয়ে গেল সোমার। মানবিক দিক থেকে চাকরিটা কেড়ে নেওয়া হয়নি সোমা দাসের। কিন্তু আগামীদিনে কোন এক রায়ে সোমার চাকরিও যে চলে যাবে না তার গ্যারান্টি কোথায়!সমাজ ব্যবস্থায় দুর্নীতির আগাছা ভরে গেছে। তারজন্য জেনুইন ক্যান্ডিডেটদের ভবিষ্যৎ দোলাচলে। আগামী দিনে যারা পরীক্ষা দিতে বসবে এসব দেখে মানসিক ভাবে তাঁরা বিপর্যস্ত। চাকরি পেলেও এমন অস্বস্তিকর দিনগুলো দেখতে হবে না-তো ? এসএসসি শুধু নয় অন্যান্য ক্ষেত্রেও তদন্ত যে হবে না তা কিন্তু নয়! আগামীদিন অনেককিছুই অপেক্ষা করছে।
ছবি এবিপি ভিডিও থেকে নেওয়া