দিদি’র কেন্দ্রে ‘খেলা হবে’ লড়াইয়ে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তৃণমূল সৈনিকরা

কল্যাণ অধিকারী, কলকাতা

কয়েকঘন্টা আগে ঘোষণা হয়েছে ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের তারিখ। তারপর থেকেই জেলা থেকে রাজ্যস্তরে তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের স্বস্তি ফিরেছে। তৃণমূলের একাংশের কথায়, কমিশন আরও আগেই ভবানীপুর কেন্দ্রে ভোট করাতে পারতেন। তবে পুজোর আগেই ভোট করাতে সম্মত হয়েছে এটাই স্বস্তির।

বিধানসভার ভোটের মুখে পুরনো কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে ‘ছোট বোন’ নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নজরকাড়া আসন নন্দীগ্রামে লড়াই ছিল হাড্ডাহাড্ডি। কখনও এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী, কখনও মমতা। শেষের দিকে প্রচারিত হয় জিতে গিয়েছেন মমতা। এরপর জানা যায় সামান্য ব্যবধানে জিতেছেন শুভেন্দু। এরপর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মমতা। নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে ভোটে জিতে আসতে হবে তাঁকে। সেইমতন পুরনো কেন্দ্র থেকেই উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চলেছেন তিনি। কিন্তু ভোট কবে হবে তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল। বারেবারে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোট করার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের শীর্য নেতৃত্ব। এরই মধ্যে নন্দীগ্রামের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছেন মমতা। কিন্তু কবে হবে উপনির্বাচন এই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পুজোর আগে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।

এগারো সালে বামেদের হারিয়ে মা মাটি মানুষের সরকার গঠনের সময়ও ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে লড়েছিলেন মমতা। উজাড় করে ভোট দিয়েছিল ঘরের কেন্দ্রের আম জনতা। এবার পরিস্থিতি আরও অনুকূলে। ফলে জেতার ব্যবধান অনেকটাই বাড়বে আশাবাদী তৃণমূল। আগামী দু একদিনের মধ্যেই ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হতে পারে মমতা’র। তারপর শুরু হবে ‘খেলা হবে’ প্রচার। তবে ভোটের দিন ঘোষণা হতেই ‘খেলা হবে’ সুর ধরেছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের একাংশের কথায়, বিজেপি সহ বিরোধী প্রার্থীদের মাঠে গুণে গুণে গোল দিতে প্রস্তুত তৃণমূল সৈনিকরা। খেলতে নামার জন্য তর সইছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *