বাংলা থেকে দিল্লি এক্সপ্রেস ধরছেন সাগরিকা সহ ৫
কল্যাণ অধিকারী ও ব্যুরো রিপোর্ট
দুয়ারে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। এমন একটি সময় বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন পাঁচ জন। যারমধ্যে তৃণমূলের চার এবং বিজেপির এক। রাজনৈতিক চমক দেওয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল সুপ্রিমো সর্বদা এগিয়ে। রাজ্যসভায় তিনি কাদের পাঠাচ্ছেন তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। এবারেও তাঁর চমক। সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ কে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন। কে এই সাগরিকা ঘোষ? কুনাল ঘোষের আত্মীয় নাকি? আসুন জেনে নেওয়া যাক সমস্তটা।
ভোট রাজনীতিতে মতুয়াদের প্রভাব একটা ফ্যাক্টর। বনগাঁ লোকসভার অর্ধেকের বেশি মতুয়া ও নমশূদ্র ভোটার। তৃণমূল নেত্রী বিলক্ষণ বোঝেন উত্তরে জয়-পরাজয়ে নির্ণায়ক মতুয়া। কৌশলে মতুয়া ভোট টানতে রাজ্যসভার টিকিট পেলেন মমতাবালা ঠাকুর। সংখ্যালঘুদের গুরুত্ব দিতে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যসভার মনোনয়ন পেলেন নাদিমুল হক। পরিচিতির দিক থেকে নাদিমুল উর্দু অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান একি সঙ্গে উর্দু দৈনিকের সম্পাদক।
অসমের মেয়ে তৃণমূলের সুস্মিতা দেব টিকিট পেলেন। কংগ্রেস ত্যাগ করা প্রাক্তন সাংসদের রাজ্যসভায় কাজকর্মে খুশি তৃণমূল। একি সঙ্গে মমতা ও অভিষেকের আস্থাভাজন তিনি। এর আগেও রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। পুরনো মুখ হিসেবে এবং রাজ্যসভার ওঁর পারফরম্যান্স বেশ ভালো। অভিষেকের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন অসমের কংগ্রেস নেত্রী। ওঁকে টিকিট দিয়ে অভিষেককেও বার্তা দিতে পেরেছেন তৃণমূল।
চতুর্থ টিকিট পেয়েছেন সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ। সবথেকে কৌতুহল সাগরিকে নিয়ে। মমতা টিকিট দিয়েছেন সাগরিকাকে। এই সাগরিকা একাধারে সঞ্চালক অন্যদিকে মমতার সঙ্গে বহুদিনের পরিচিত। উনি সাংবাদিক রাজদীপ সারদেশাইয়ের স্ত্রী। এর পাশাপাশি ইন্দিরা গান্ধী ও অটলবিহারী বাজপেয়ীর জীবন নিয়ে দুটি বই লিখেছিলেন সাগরিকা। একটির নাম ‘ইন্দিরা: ইন্ডিয়াস মোস্ট পাওয়ারফুল প্রাইম মিনিস্টার অন্যটি হল ‘অটল বিহারী বাজপেয়ী’। এর আগে সাংবাদিক কুনাল ঘোষকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন মমতা।
বিজেপির হয়ে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। বঙ্গ বিজেপির অত্যন্ত চেনা মুখ। ওঁর মন্তব্য কর্মীদের উজ্জীবিত করে! তারই ফল স্বরূপ রাজ্যসভায় যাচ্ছেন তিনি।