খানাকুলে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা

রাজন্যা নিউজ ব্যুরো

উৎসবের মরশুম কাটতে না কাটতে ফের আক্রান্ত তৃণমূল নেতা। পুজো কাটতে না কাটতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল হুগলির খানাকুল। এখানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গণধোলাই দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ওই নেতা এক মহিলার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, হুগলির খানাকুলের অঞ্চল সহসভাপতি বরুণ মণ্ডলকে গণধোলাই দেওয়া হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মদ খেয়ে এক মহিলার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। বিষয়টি ধরা পড়ে যেতেই জনরোষের মধ্যে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়।

তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। আচমকাই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার পথ আটকে মারধর শুরু করে। জখম অবস্থায় বরুণ মন্ডলকে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের নির্দেশে এই মারধর চালানো হয়েছে। তৃণমূলের অত্যন্ত সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করেন বরুণ মণ্ডল। এটাই মেনে নিতে পারেনি বিজেপি। সেই কারণে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে মারধর করা হচ্ছে।

বিজেপির দাবি, স্থানীয় মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছিল বরুণ মণ্ডল। তৃণমূলের দাবি, গণধোলাই দেওয়ার পর বিষয়টি চাপা দিতে চাইছে বিজেপি। সেই জন্য শ্লীলতাহানীর কথা বলে বিষয়টি চেপে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু মহিলাদের দিয়ে মিথ্যা কথা বলানো হচ্ছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষই রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিজেপি ও তৃণমূল উভয়পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আসল ঘটনা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *