তৃণমূল নেতা ওয়াজুল খান খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৪, এলাকায় পুলিশি পিকেট

কল্যাণ অধিকারী

হাওড়ায় পুরভোটের আগে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদককে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। খুন হওয়ার ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ৪ জনকে গ্রফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ বা ব্যবসায়ী কারণ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন নাজিরগঞ্জের তৃণমূল নেতা ওয়াজুল খান। সেই সময় বাড়ির সামনেই তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীদের দল। স্থানীয়রা ছুটে এসে তৃণমূল নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় নারায়ণা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এলাকায় জুয়া-সাট্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এমনটাই স্থানীয়দের কথায় উঠে এসেছে। জুয়া-সাট্টার সঙ্গে যুক্ত দুস্কৃতীদের কুনজরে পরেই প্রাণ হারালেন কিনা বুঝে উঠতে পারছেন না স্থানীয়রা।

তৃণমূল নেতা খুনে উঠে আসছে রাজনৈতিক তত্ত্ব। তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, ওয়াজুলের ভাই গুড্ডূ বিজেপি নেতা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এলাকায় প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছিল বিজেপি। ফলতঃ তৃণমূলের নিশানায় বিজেপি। তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি কল্যাণ ঘোষের কথায়, “পুরভোটের আগে নিজের জমি শক্ত করে ফেলেছিল ওয়াজুল। ওই ওয়ার্ড দখলের চেষ্টা করছে বিজেপি। তাই তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।” স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের কথায় এলাকায় পরিচিত সমাজকর্মী ছিলেন ওয়াজুল। কারও সঙ্গে কোন বিভেদ ছিল না। তাঁকে এভাবে বাড়ির সামনেই খুন হতে হল। ঘটনায় পুলিশের দিকেও আঙুল তুলেছেন তাঁরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বছর বাহান্নর তৃণমূল নেতার মাথায় ও কাঁধে গুলি লেগেছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এমন চারজন সন্দেহভাজনকে রিজুবাগান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি পিকেট করা হয়েছে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

ছবি সংগৃহীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *