আমতায় পুকুরে তৃণমূল কর্মীর দেহ, সিপিএমকে নিশানা মন্ত্রীর, পাল্টা গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের তত্ত্ব সিপিমের
রাজন্যা নিউজ ব্যুরো
তৃণমূলের সক্রীয় কর্মীর দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা আমতার চন্দ্রপুর চাটরায়। দফায় দফায় পথ অবরোধ। টাওয়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। গ্রামীণ পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম লাল্টু মিদ্যা। বয়স ৩৫।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তি এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। টোটো চালাতেন। রাত থেকেই খোঁজ মিলছিল না। সকালে মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুর থেকে। বেশ কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল! ঘটনার পরেই এলাকায় পৌঁছে যায় চন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কর্তারা। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির সঙ্গে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী দের সঙ্গে বনি বনা ছিল না। শনিবার রাত আটটার পর বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। একবার ফোন বেজেছিল। তারপর থেকে কোন খোঁজ মিলছিল না। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুরে দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ কাজ বিরোধী দলের এমনটাই সাংবাদিকদের জানান মৃতের স্ত্রী।
এই ঘটনা নিয়ে সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় দাবি করেছেন, ‘সিপিএম এবং বিজেপি-র বহিরাগতরাই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে।” পাল্টা সিপিএম হাওড়া জেলার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সাবিরউদ্দিন মোল্লা এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণেই মৃত্যু বলে উল্লেখ করেছেন।
এই ঘটনায় উত্তেজিত স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা আমতা-রানিহাটী সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় চল্লিশ মিনিট পথ আটকে রাখেন। পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ও বিক্ষোভ ওঠে। উল্লেখ্য আমতা থানার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়া গ্রামে উদ্ধার হয়েছিল আমতার ছাত্রনেতা আনিস খান। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়েছিল। ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল আমতা থানার ওসি, সিভিক কর্মীদের। তা এখনো বিচারাধীন।