হাওড়ায় জোড়া অগ্নিকাণ্ড
কল্যাণ অধিকারী ও ব্যুরো রিপোর্ট রাজন্যা নিউজ
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হাওড়ায়। একটি নয়, দুটি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটেছে পাকুড়িয়ায়, অন্য ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারপাশ। ঘটনাস্থল দুটিতে পৌঁছেছে দমকলের ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভাচ্ছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, একটি আগুন লেগেছে পাকুড়িয়ার প্লাস্টিকের গোডাউনে। অন্যটি লেগেছে ডোমজুড়ের থার্মোকলের কারখানায়। এর মধ্যে প্রথম আগুনটি লেগেছে ডোমজুড়ের রাজাপুরে। সেখানে থার্মোকলের কারখানায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। কোনও ভাবে সেখানেই আগুন ধরে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ওই কারখানায় কোনও শ্রমিক ছিলেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। চলছে আগুন নেভানোর কাজ।
অপরদিকে, পাকুড়িয়াতে জাতীয় সড়কের ধারে জঞ্জাল জমা করে রাখা হয়েছিল একটি গোডাউনে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানেও দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। সেখানেও হঠাৎ করে আগুন ধরে যায়। তবে কী থেকে সেই আগুন লেগেছে জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের একটি ইঞ্জিন। এলাকাবাসী জল ঢেলে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে পরপর দুটি অগ্নিকাণ্ডেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে হাওড়ায়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এই হাওড়ার মঙ্গলাহাটে বিধ্বংসী আগুন লাগে। সেখানে থাকা মর্ডান বিল্ডিংয়ের তিনতলায় আগুন লেগে যায়। গলগল করে বেরতে থাকে ধোঁয়া। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন। তবে আগুনের কড়াল গ্রাস থেকে বাঁচতে পারেনি একাধিক দোকান। পুড়ে খাক হয়ে যায় দোকানগুলি। মূলত, এখানে প্রায় ২০০ বেশি দোকান রয়েছে। সেখানেই আগুন লেগে যাওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ও। তবে মঙ্গলাহাটে ২০২৩ সালেও ভয়াবহ আগুন লেগে গিয়েছিল। ওই সময় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল একাধিক কাপড়ের দোকান। কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল। পরে যদিও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় সরকারের তরফে। এবার সেই হাওড়ারই দু’জায়গায় লাগল ভয়াবহ আগুন।