বিয়েতে পরিবারে সায় নেই! কালীমন্দিরে কপালে সিঁদুর পরে বিয়ে সারলেন দুই তরুণী
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
কনের সাজে ছিল লাল বেনারসী ও অন্যজন পাঞ্জাবি পরিহিতা। কালী মন্দিরে মালা পরিয়ে সিঁদুর দান করলেন। বুধবার রাতে বিয়ের বন্ধনে বাঁধা পড়লেন মালদার দুই মহিলা। কনকনে শীতের রাতে কালী মন্দিরে বিয়ে উপলক্ষে বহু মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। নিজেদের বিয়ে বেশ উপভোগ করলেন দুই মহিলা। ভালবাসার জয় হয়েছে জানিয়ে হাতে হাত ধরে রাস্তা ধরলেন। মালদার ইংরেজবাজার এলাকার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।
জানা গেছে, ওই দুই মহিলার নাম পপি মন্ডল এবং প্রতিমা বিশ্বাস। বামনগোলা থানার নানাগোলা এলাকায় পপির বাড়ি। অপরজনের বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকায়। ফোনেতেই পরিচয় তাঁদের। দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই বন্ধুত্ব থেকেই প্রেম আর তার পর পরিণয়ে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাঁদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে সম্মতি দেয়নি দুই পরিবার। শেষমেশ বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে রাতেই ঘর ছেড়ে কালী মন্দিরে এসে উপস্থিত হয় দুই মহিলা। পপির কথায়, “পরিবারের সমর্থন না মেলায় বাড়ি থেকে পালিয়ে একটি কালী মন্দিরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।”
পপি মন্ডলের বয়স ১৯ পেরিয়েছে। বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী। বুধবার রাতে মালদার ইংরেজবাজার শহরের মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন হ্যান্টা কালী মন্দিরে বিয়ে করেন প্রতিমার বিশ্বাসকে। ভালবাসার জয় দেখছে প্রতিমা। কিন্তু তাঁদের বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন না দুই পরিবারের সদস্যরা। তবে সেসব নিয়ে ভাবতে চায় না দু’জনে। বিয়ের জন্য সমস্ত আয়োজন নিজেরাই করেছেন। পড়াশোনা জানা মেয়ে তাই এই পৃথিবীতে কাজের অভাব হবে না সাফ জবাব পপির।
দু’জনেই যে সমালোচনার ভয় করেন না বুঝিয়ে দিয়েছেন। দু বছরের প্রেমের সম্পর্কে থেকে অবশেষে বিয়ের বন্ধনে বাঁধা পড়লেন যুগল। ওঁদের বিয়ে দেখতে শীতের রাতে কালী মন্দিরের সামনে তখন বহু মানুষজন হাজির। গলায় রজনীগন্ধার মালা, মাথায় লাল সিঁদুর পরিহিতা নব দম্পতি নতুন জীবনের সন্ধানে রাস্তা ধরলেন। হাতে হাত রেখে বুঝিয়ে দেন তাঁদের ভালোবাসার জয় হয়েছে।