ভোটের মুখে পিতৃপরিচয় নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য জনতা ভালো চোখে নেবে তো?
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর পিতৃপরিচয় নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য অশালীন শুধু নয়, অত্যন্ত নিম্নমানের ব্যক্তিত্বের পরিচয়। এমন শালীনতা ছাড়ানো কথাবার্তা যে দলের অন্যরাও সমর্থন করে না তা শোকজ নোটিশ থেকে স্পষ্ট। একি সঙ্গে ভোটের মুখে এই ধরনের মন্তব্য করে নিজের দলকেই ব্যাকফুটে ফেলে দিলেন না তো প্রশ্ন তুলছেন অনেকে!
বরাবরই ব্যক্তি আক্রমণ করে নিজের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন৷ এর আগে আলটপকা মন্তব্য করে দিল্লির ধমক পর্যন্ত শুনেছেন। এমনকি রাজ্য সভাপতি পদ খুইয়েছেন। এবার তো সংসদীয় কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকে রাজ্যের সীমানায় স্থান হয়েছে। তারপরেও তিনি যে বদলাননি ভোটের মুখে প্রমাণ করলেন এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ভোট রাজনীতিতে ভাষা শালীনতার বাঁধ ভাঙেন রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ। কমিশন শো-কজ করে। উপযুক্ত জবাব না পেলে শাস্তি নেমে আসে। কিন্তু সেসবের পরোয়া না করে ভোট বাজারে নিজেদের অস্তিত্ব ভাসিয়ে রাখতে অসংলগ্ন কথাবার্তা এমনকি ব্যক্তি আক্রমণ করতেও পিছুপা হয়না। ভোটের সময় এই ধরনের আক্রমণ মানুষ ভালো ভাবে নেয় না তার উদাহরণ অনেক রয়েছে।
উনিশের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রীকে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলায় কমিশনের রোষে পড়েন রাহুল গান্ধী। ভোটের পর দেখা যায় রাহুলের ওই মন্তব্য ভোটাররা ভালো ভাবে নেয়নি। বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয় বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর মুখে দিদি ও দিদি শ্লোগান সেইসময় ঝড় তোলে। অনেকেই একে ব্যাঙ্গাত্মক বলেছিলেন। ভোটের পর দেখা যায় রাজ্যে বিজেপির ভোট জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। বিপুল সাফল্য মেলে তৃণমূলের।