যানজট মুক্ত পুরসভা হবে উলুবেড়িয়া, দাবি পুলকের
কল্যাণ অধিকারী
উলুবেড়িয়া পুরসভা এলাকাকে যানজটমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে পুনরায় ক্ষমতায় আসা তৃণমূল। এর জন্য ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে বাইপাস। সেই সঙ্গে নিকাশী সমস্যার সমাধান হবে চিরতরে। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর উলুবেড়িয়ার উন্নয়নে আগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই পরিকল্পনা নিয়েছে শাসক তৃণমূল। দলের নেতা তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, উলুবেড়িয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এসে থাকেন। এখানে রয়েছে মহকুমা আদালত, মহকুমা শাসকের অফিস, মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিস এর মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ দফতর। তাছাড়া উলুবেড়িয়ার জনবসতিও ঘন। তাই এই এলাকায় নিত্য যানজট লেগে থাকে। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে বাইপাস তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য এবারের ভোটে উলুবেড়িয়াতেও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। ৩২ টির মধ্যে তৃণমূলের দখলে ২৮টি ওয়ার্ড। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম এবং নির্দল পেয়েছে একটি করে ওয়ার্ড। ২ নং ওয়ার্ড গেছে কংগ্রেসের দখলে। সিপিএম পেয়েছে ১০ নং ওয়ার্ড। এবং বিজেপি পেয়েছে ২৯নং ওয়ার্ড। অন্যদিকে ১৭ নং ওয়ার্ড গিয়েছে নির্দলের দখলে। উল্লেখযোগ্য প্রার্থী ছিলেন বিদায়ী চেয়ারম্যান অভয় দাস। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন। ৪৯৬৩ ভোটে জয়লাভ করেছেন।
জয়ের পর অভয় দাস জানান, “শহরকে যানজট থেকে মুক্ত করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফাইল চলে গেছে। ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে উলুবেড়িয়া পৌরসভার বাইপাস হবে। এর ফলে যানজট মুক্ত হবে উলুবেড়িয়া। এরপরেই তিনি খোঁচা দেন বামেদের। বিগত ৩৪ বছরে বামফ্রন্ট নিকাশি নিয়ে কিছুই করেনি। বাইপাস এবং নিকাশি সমস্যার সমাধান করাই প্রাথমিক লক্ষ্য আমাদের।”
রবিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হয়েছিল উলুবেড়িয়া পৌরসভার ৩২টি ওয়ার্ডে। বুধবার বেলা দশটার পর থেকেই বীরশিবপুর ওম দয়াল কলেজের গণনাকেন্দ্রের বাইরে আবীর মাখা শুরু করে দেন কর্মীরা। ততক্ষণে ফলাফল তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে গিয়েছে। একের পর এক ওয়ার্ডে ব্যবধান বাড়ছে। তৃণমূল কর্মী অতনু দাস জানান, “গতবারের চেয়ে ফল ভালো হবে। দিদির উন্নয়ন ও কেন্দ্রের মোদী সরকারের মূল্যবৃদ্ধির ফল মিলতে চলেছে।” রাহুল জানা নামে আর এক কর্মীর কথায়, “ভোটের দিন মানুষের উচ্ছ্বাস বলে দিয়েছিল এবারও পৌরসভা তৃণমূলের দখলে থাকছে। বিরোধীদের দেখা মেলে কোথায়। ওঁদের নেতারা টিভিতে বলে আর ওঁরাও নেতাদের দিকে তাকিয়ে থাকে।”