রুপোলি জগতে উত্তমকুমারের মতো রাজা কই এল না তো

দীপিকা অধিকারী, রাজন্যা নিউজ
৩ সেপ্টেম্বর শততম জন্মবার্ষিকীতে পা রাখলেন উত্তমকুমার। চোখ ধাঁধাঁনো চাহনী আর সুদক্ষ অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করা উত্তমকে নিয়ে আজও উন্মাদনা তুঙ্গে। উত্তম প্রেমী মানুষজন তাঁর স্মৃতিতে বিভোর। শহরবাসীর হৃদয়ে মহানায়ক যে আইকন। তাই তো ১০০ বছরেও এতটুকু ফিকে হননি তিনি জানালেন ভক্তরা।
প্রবীণদের কথায়, চিরকাল তাঁকে টানত অভিনয়, নাটকের মঞ্চ, রুপোলি পর্দা। আজ সেই সমস্ত ছায়াছবিতে তাঁর অভিনয় দেখে আমাদের প্রজন্ম তৃপ্তি পায়। ভাবুন যে ছবি উনিশশো বাহান্ন সালে মুক্তি পায়, সেই ‘বসু পরিবার’ মাপের ছবি আজ পর্যন্ত কেউ কি বানানোর কথা ভেবেছে। মরুতীর্থ হিংলাজের কথাই ভাবুন কি অসাধারণ এক সিনেমায় আজও মুগ্ধ আপামর বাঙালি। বছর আসবে, বছর যাবে, কিন্তু মহানায়ক উত্তম কুমারকে ভুলতে পারবে না কোন প্রজন্ম।
১৯২৬ সালের এই দিনটাতে কলকাতার আহরিটোলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। একটা সময় নাম রাখা হয়েছিল অরুণকুমার চ্যাটার্জি। পিতার নাম সাতকড়ি চট্টোপাধ্যায় এবং মা চপলা দেবী। সেদিনের অরুণকুমার বয়সের সঙ্গে-সঙ্গে হয়ে ওঠেন উত্তমকুমার। তাঁর অভিনীত ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পাকাপাকি ছাপ ফেলেন মহানায়ক। তারপর থেকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। সপ্তপদী , দেয়া নেয়া , নায়ক , নায়িকা সংবাদ, এন্টনী ফিরিঙ্গী, চৌরঙ্গী , ধন্যি মেয়ে, ছদ্মবেশী , আলো আমার আলো , ছিন্ন পত্র , স্ত্রী, বিরাজ বৌ, হার মানা হার, বনপলাশীর পদাবলী , মৌচাক, বাঘবন্দী খেলা , শ্রীকান্তের উইল , অমানুষ, আনন্দ আশ্রম সিনেমা দেখে মুগ্ধ সেকাল ও একাল।