কাঁচা লঙ্কা টমেট দেড়শো জেলাজুড়ে সবজির বাজার আগুন মাথায় হাত আম-জনতার

কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ

তিনশোয় পৌঁছে গেল কাঁচা লঙ্কার দাম। আগেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে টমেটো। উচ্ছে-করলার দাম একশো। শসা আশি টাকা। আষাঢ়ে বর্ষণ সেইভাবে হয়নি। তারপরেও কৃষকের ক্ষেত ডুবে যাওয়াকে হাতিয়ার করে চড়চড়িয়ে দাম বাড়ছে সবজির। কবে বাজারে দাম কমবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আম-জনতা।

গ্রামীণ থেকে সদর সর্বত্রই ঊর্ধ্বমুখী সবজির দাম। রবিবার ব্যাগ হাতে বাজারে যাবার আগে সবজির দরদাম ক্রেতাদের ছ্যাঁকা লাগানোর জন্য যথেষ্ট। ধূলাগড় পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেশি থাকায় লোকাল বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। পাইকারি বাজারের এক বিক্রেতার কথায়, ‘বর্ষায় জল জমে সবজি নষ্ট হয়ে যায় বেশি। যে কারণে এই সময় দাম বেড়ে যায়। কিন্তু তা বলে কাঁচা লঙ্কার দাম তিনশো টাকায় পৌঁছে যাবে? বিক্রেতাদের কথায়, গরমের জন্যই সবজির দামে প্রভাব পড়েছে।

গ্রামীণ এলাকার কৃষকদের একাংশের কথায়, “তীব্র গরম শেষে বর্ষা আসলেও ঠিকঠাক বৃষ্টি হচ্ছে না। তার উপর সারের দাম বেড়েছে। সবজি চাষে লাভের মুখ দেখার আগেই মিডিল ম্যানেরা মাঠ থেকেই সবজি কিনে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এরপর চেপে রেখে দর বাড়ানোর একটা খেলা চলছে। এতে করে কৃষকরা লাভের মুখ কম দেখছে। ফুলে ফেঁপে উঠছে মিডিল ম্যানেরা!”

আমতা, বাগনান, শ্যামপুর, উলুবেড়িয়া, সাঁকরাইল, কদমতলা সর্বত্র একিই চিত্র। বাজারে সবজির দামে আগুন। আদা চারশো, রসুন দুশো, ঝিঙে আশি টাকা। যে ঢ্যাঁড়স তিরিশ টাকায় বিক্রি হয় তা এখন আশি টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। এইভাবে দাম বাড়তে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত ক্রেতাদের। শনিবার ধূলাগড় থেকে পাইকারি বাজারে সবজি কিনতে আসা সাঁকরাইলের অনিমেষ দাস জানান, “এখানেই ধনেপাতা আড়াইশো টাকা কেজি, বেগুন একশো কুড়ি। সজনে ডাটা একশো টাকায় কিনতে হচ্ছে। কত দামে লোকাল বাজারে বিক্রি করব বুঝে উঠতে পারছি না।

মধ্যবিত্তের দুশ্চিন্তা সবজির দাম বাড়লেও মাইনে বাড়ছে না। ফলে অর্থের অভাব প্রকট হচ্ছে। তার উপর ভোটের কারণে নেতারা ভোট প্রচারে ব্যস্ত। কে শুনবে সাধারণ মানুষের দুরবস্তার কথা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *