সজাগ সাইবার ক্রাইম বিভাগ, হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারে সচেষ্ট পুলিশ
কল্যাণ অধিকারী
শহর ও গ্রামীণ এলাকায় পথে-বাসে মোবাইল চুরি হামেশাই ঘটে চলেছে। তিতিবিরক্ত পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। মোবাইলের জেনারেল ডাইরির সংখ্যা বাড়ছে। তারপরেও কবে উদ্ধার হবে নির্দিষ্টভাবে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট আধিকারিক। ফলে প্রশাসনের দিকে হাপিত্যেশ করে থাকছেন হারানো ফোনের মালিকরা।
হাওড়া সিটি পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রায় প্রতিদিন শহর এলাকায় মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চলন্ত বাস ও ট্রেনে ঘটছে। এমনটাও জানা যাচ্ছে, বাসে উঠবার সময় পকেট থেকে মোবাইল হাতিয়ে নিচ্ছে ছিনতাইকারীরা। এরা একটা নির্দিষ্ট এলাকায় লক্ষ্যমাত্রা রাখে। মূলত জাতীয় সড়কের উপর এদের নজর থাকে বেশি। চলন্ত বাস থেকে ছিনতাই করে নেমে যায়। এর পাশাপাশি ট্রেনের গতি স্লো থাকা এলাকায় ট্রেন থেকে নেমে পালায় ছিনতাইকারীরা। ডোমজুড় থানা, সাঁকরাইল থানা এলাকায় মোবাইল ছিনতাই সংক্রান্ত অভিযোগ বেশি হচ্ছে। ১৬ নং জাতীয় সড়কের অধিকাংশ এলাকা এই দুই থানার মধ্যে পড়ে। ধূলাগড়, আলমপুর থেকে সলপ ব্রিজ হয়ে কোনা প্রায় ১০ কিমি পথে ঘটছে বেশি। ওই চলাচল করা বাস এমনকি পথ চলতি মানুষদের হাত থেকেও ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে মোবাইল। তারপর গা ঢাকা দিতে সুনশান এলাকায় পালিয়ে যাচ্ছে।
ডোমজুড় ও সাঁকরাইল থানার পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২ টা ও সন্ধে ৭টা থেকে রাত ১০ টা অবধি টার্গেট করে। এই সময় বিভিন্ন সংস্থায় কাজে যোগ দিতে ও কাজ থেকে ফেরার বাস ধরেন চাকুরীজীবিরা। তবে উদ্ধার করাও হচ্ছে। সিটি পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শেষ কয়েক মাসে হাওড়া শহর এলাকার থানা এলাকায় ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে পঞ্চাশের বেশি। গ্রামীণ এলাকার হিসাব অন্য কথা বলছে। এদিকে ছিনতাইকারীরা বাইকে করে এসে হাত থেকে কেড়ে নিয়ে পালাচ্ছে। চলন্ত বাসে এমনকি মেলার ভিড়েও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। গ্রামীণ পুলিশের এক কর্তার কথায়, উদয়নারায়ণপুর, পেঁড়ো, আমতা, জেবিপুর ও বাগনান এই সমস্ত থানায় মোবাইল চুরির অভিযোগ আসছে। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে এমন সংখ্যা প্রায় ৩০।
গ্রামীণ পুলিশ ও পেঁড়ো থানা থেকে সোমবার ১৫ টি হারিয়ে যাওয়া মোবাইল তুলে দেওয়া হয়েছে সঠিক ব্যক্তিদের হাতে। উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও, আমতা থানা ও গ্রামীণ পুলিশের আধিকারিক। এর আগে ১১টি হারিয়ে যাওয়া নামি দামি কোম্পানির মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ফেরত দিয়েছিল উদয়নারায়ণপুর থানার পুলিশ। বাগনান থেকেও উদ্ধার হওয়া মোবাইল তুলে দেওয়া হয়েছে সঠিক ব্যক্তিদের হাতে। জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ মোবাইল উদ্ধারে সাহায্য করে চলেছে। এইভাবেই হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের হাতে ফেরত দিচ্ছে পুলিশ।