লক্ষ্মীর আরাধনায় জোরদার প্রস্তুতি লক্ষ্মী গ্রাম খালনায়
কল্যাণ অধিকারী এডিটর রাজন্যা নিউজ
দুর্গাপুজোর পর বাঙালির ঘরে এবার কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা। আনন্দ মুখর উৎসবের রেশ জিইয়ে রেখে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় জমজমাট খালনা। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে গ্রামীণ হাওড়ার জয়পুর থানার লক্ষ্মী গ্রাম খালনায়।
শনিবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। তার আগে শুক্রবার দেখা গেল লক্ষ্মী গ্রামে উৎসবের পরিবেশ। বারোয়ারি থেকে বনেদি বাড়ি সব জায়গাতেই চলছে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন। ক্ষুদিরায়তলা কোহিনূর ক্লাব, খালনা আমরা সবাই, গড়ামোষতলা, খালনা পল্লি সংঘ ক্লাব, মিতালি সঙ্ঘ সর্বত্র শিল্পীদের চরম ব্যস্ততা। মন্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। শিল্পীরা অবশ্য জানালেন, দিন-রাত এক করে কাজ করছেন তাঁরা। শনিবার বেলাতেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে মন্ডপ ও প্রতিমা।
খালনা বাজার এলাকায় পুলিশের কন্ট্রোলরুম করা হয়। সেখানেও কাজ চলছে। পুজো চলাকালীন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে গ্রামীণ পুলিশের বিশাল বাহিনী। থাকবে দমকলের আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খালনা গ্রামজুড়ে প্রায় ৪০টির মতো ছোট-বড় পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারমধ্যে ২৫টি বারোয়ারি পুজো হচ্ছে। এছাড়াও দেড়শোর বেশি পারিবারিক পুজোও অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চালানো হবে। থাকবে মহিলা পুলিশ, র্যাফ সহ পুলিশের বিশাল বাহিনী। পুজোর উদ্বোধনে আসতে পারেন রাজ্যের মন্ত্রী থেকে সাংসদ। থাকবেন গ্রামীণের একাধিক বিধায়ক। শুক্রবার রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় খালনা আদি অন্নপূর্ণা ক্লাবে। রক্তদাতাঁদের শুভেচ্ছা জানান আমতার বিধায়ক।
এদিন বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান, “বছরভর খালনা গ্রামের লক্ষ্মীপুজোর দিকেই তাকিয়ে থাকেন গ্রামবাসীরা। বারোয়ারি পুজো থেকে বাড়িতে বাড়িতে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পুজোর দিনে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। প্রশাসন সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”
হাওড়া জেলায় লক্ষীগ্রাম নামে পরিচিত আমতা বিধানসভার খালনা গ্রাম। পুজোয় থিম থেকে সাবেকিয়ানা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টায় উদ্যোক্তরা। পুজোর পাশাপাশি থাকছে রক্তদান শিবির। বসবে মেলাও। লক্ষাধিক মানুষজন আসবেন। জোরদার বিকিকিনির আশায় বিক্রেতারা। সব মিলিয়ে লক্ষ্মী পুজো নিয়ে উৎসবের পরিবেশ খালনায়।