পুলিশের পোষাকে কারা এসেছিল, আমতায় ছাত্রনেতার খুনে রহস্য
কল্যাণ অধিকারী
আমতার সারদায় গভীর রাতে ছাত্রনেতাকে পুলিশ পোশাকে খুন করা হয়েছে! সকাল থেকে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। পরিবারের অভিযোগের নিশানায় পুলিশ। খবর জানতে পেরে আমতা থানার সামনে এসে পৌঁছান বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। তিনিও অভিযোগ করেন প্রি প্ল্যান করে মারা হয়ে থাকতে পারে ছাত্রনেতাকে!
পরিবারের দাবি, মৃত যুবকের নাম আনিস খান (২৮)। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। রাতে দরজা ধাক্কা দিয়ে গেট খুলিয়ে বাড়িতে ঢোকে চারজন। তাঁদের মধ্যে তিনজন সিভিক ভল্যান্টিয়ার ও একজন পুলিশ। তারপর পুলিশ পোশাকে থাকা ব্যক্তি আনিসের বাবাকে আটকে রাখেন। বাকিরা তিনতলার ছাদে পৌঁছে যায়। সেখান থেকেই বাড়ির সামনে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর ছুটে গেলে দেখা যায় আনিসের দেহ পড়ে রয়েছে। সেই সময় ওপর থেকে নেমে আসে বাকিরা। তারপর চলে যায় সকলে।
তাঁদের আরও অভিযোগ, পুলিশ কর্মীরা পরিচয় দিয়েছিল আমতা থানার পুলিশ। কিন্তু আমতা থানার পক্ষ থেকে বলা হয় থানা থেকে কেউ যায়নি। আমতা থানার সারদা দক্ষিণ খাঁন পাড়ায় পৌঁছে শনিবার দেখা গেল এলাকার মানুষজন কোনকিছুই বলতে চায়নি। সকলের চোখেমুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে কোনকিছুই বলছেন না। জানা গেছে, সারদায় বাড়ি হলেও ছাত্রনেতা কলকাতায় থাকতেন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।
বেলায় বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী আমতা থানার সামনে সাংবাদিকদের জানান, “ছাত্রনেতা আনিসকে যেভাবে মারা হয়েছে তা পূর্ব পরিকল্পিত এমনটাই তাঁর অনুমান। তিনি আরও বলেন, পুলিশের পোশাকে বাড়িতে ঢুকে এক ছাত্রনেতাকে মারা হল। অথচ আমতা থানার কাছে এ বিষয় কোন খবর নেই। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছি। উপযুক্ত বিচার চাই। সম্প্রতি তাঁর দলের ছাত্রনেতা হয়ে কাজ করছিল এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।” আনিসের পরিবার উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে আদালতে যাবেন এমনটাই জানিয়েছেন। ছাত্রনেতার মৃত্যু ঘিরে দিনভর চাঞ্চল্য ছিল আমতায়।