টানা চারদিনের ছুটিতে ভাবছেন ঘুরতে যাবেন কোথায়? ঘুরে আসুন দিঘা

কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ

বৃহস্পতিবার থেকে টানা চারদিনের ছুটি। ভাবছেন কথায় যাবেন, ঘুরে আসতে পারেন দিঘা। কোভিড পরিস্থিতি দূরে সরিয়ে আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে বঙ্গের এই সৈকত শহর। পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে অল্প বালুচর সমুদ্রে কাটিয়ে আসতে পারেন অনায়াসে। সাধ্যের মধ্যে হোটেল ভাড়া মিলে যাবে। তারপর সকাল-বিকাল থেকে সন্ধে যেকোন সময় চাতালে বসে সমুদ্র দেখুন। সাইড সিন ঘুরে দেখুন মোহনা, শংকরপুর, তাজপুর, তালসারি, চন্দনেশ্বর মন্দির সহ ঢেউ সাগর।

ট্রেন চালু হওয়ায় একাধিক ট্রেন মিলছে দিঘায় পৌঁছাতে। হাওড়া থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা পঞ্চাশ মিনিটে ছেড়ে যায় তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস (12857)। বেলা ১০টা পনেরো মিনিটে দিঘা স্টেশনে পৌঁছে দেবে। দিঘার সমস্ত হোটেলে চেক ইন দশটায়। বলা যায় এই ট্রেন আপনার জন্য সঠিক। তাম্রলিপ্ত ধরতে না পারলে বা কনফার্ম টিকিট না পেলে চিন্তা নেই। সাঁতরাগাছি চলে আসুন যে কোন ট্রেন ধরে। তারপর সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে প্রতিদিন চলাচল করা সকাল ৬টা দশের ‘সাঁতরাগাছি-মেচেদা-দিঘা’ লোকাল। মেচেদায় পৌঁছে কুড়ি মিনিটের অপেক্ষা। তারপর ওই ট্রেন সকাল আটটায় মেচেদা থেকে পাঁশকুড়া হয়ে রওনা দেয় দিঘা অভিমুখে। ১১ টা নাগাদ দিঘা পোঁছায়। এরপর ট্রেন সন্ধে ৬টা পনেরো মিনিট। সাঁতরাগাছি থেকে ছেড়ে দিঘায় পৌঁছে যায় রাত ১০টা পাঁচ মিনিটে।

ওল্ড ইজ অলওয়েজ গোল্ড’ কথাটা দিঘার ক্ষেত্রেও সঠিক। আপনি দিঘা যাবেন সূর্যোদয় দেখবেন, নিরিবিলিতে কিছুটা সময় কাটাবেন, ঢেউ খাবেন। এর পাশাপাশি সকাল-বিকাল থেকে সন্ধে যেকোন সময় চাতালে বসে সমুদ্র ও সমুদ্রের গর্জন কে উপভোগ করবেন তা ওল্ড দিঘাতেই সম্ভব।
ওল্ড দিঘায় বেশকিছু হোটেল রয়েছে যা সমুদ্রের পাশেই। থাকলে ভালো লাগবে। স্নান করার ইচ্ছে থাকলে টোটোয় চেপে চলে যেতেই পারেন নিউ দিঘায়। তবে মোহনার দিকে যাওয়ার রাস্তার পাশে স্নানের জন্য জায়গা করেছে। ওখানেও স্নান করতে পারেন। খাওয়াদাওয়ার জন্য ওল্ড দিঘায় খুব ভালো ভালো হোটেল, রেস্টুরেন্ট রয়েছে। নিউ দিঘাতেও রয়েছে কয়েকশো হোটেল। একাধিক বিগ বাজেটের চমকপ্রদ হোটেলে রুম ভাড়ায় পেয়ে যাবেন।

ভ্রমণে যেখানেই যান সমুদ্র শহর দিগাহ সবসময় মনোরম। সোইকতে ডাব খেতে খেতে তাকিয়ে থাকুন দূরের পানে। নিউ দীঘা থেকে ওল্ড দীঘা অবধি মেরিন ড্রাইভে সকাল-বিকেল হাটুন। পাবেন অনাবিল আনন্দ। যেকোন হোটেলে খাওয়াদাওয়া করুন না কেন সম্পূর্ণ ছোঁয়া পাবেন বাঙালিয়ানার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *