জয়পুরে কৃষকদের দেওয়া হল পাওয়ার টিলার সহ কৃষিজ যন্ত্রপাতি

কল্যাণ অধিকারী

হাইলাইটস
❏ কৃষিজীবী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভর্তুকি দিয়ে কৃষিজ যন্ত্রপাতি প্রদান
❏ প্রথম পর্যায়ে ৮জন কৃষককে দেওয়া হল পাওয়ার টিলার
❏ কৃষকের পাশে সর্বদা রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, জানালেন সুকান্ত পাল

হারুপদ আড়ি, দুখিরাম মানিক, টিংকু আড়ি, নীরাঞ্জন গায়েন প্রত্যেকে জেলার প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলের বাসিন্দা। সোমবার আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের এমন একাধিক কৃষক সরকারের ভর্তুকিতে হাতে পেলেন পাওয়ার টিলার, যন্ত্রচালিত স্প্রে মেশিন, পাম্প সেট, ধান ঝাড়া মেশিন। খুশি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।  

জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দপ্তর কৃষিজীবী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভর্তুকি দিয়ে কৃষিজ যন্ত্রপাতি প্রদান করা শুরু করল। আমতা-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি ভবনের সামনে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রদান করা হল এ দিন থেকে। আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষকরা যারা অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন তাঁদের হাতে ভর্তুকি সহ কৃষিজ যন্ত্রপাতি তুলে দেওয়া হল। প্রথম পর্যায়ে ৮জন কৃষক পাওয়ার টিলার পেলেন। আগামীদিনে আরও ১১জন কৃষক পাওয়ার টিলার পাবেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি কৃষককে পাওয়ার টিলারের জন্য ৮৫হাজার টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হল। পাওয়ার টিলার ছাড়াও যন্ত্রচালিত স্প্রে মেশিন, পাম্প সেট, ধান ঝাড়া মেশিন সরকারের ভর্তুকিতে হাতে পেলেন কৃষকরা।

আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল জানান, “অন্যান্য জায়গায় কৃষকরা ভাতের থালা হাতে আন্দোলন করে। আত্মহননের পথও বেছে নেয়। পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা তখন কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করে তাঁরা সহায়তা পেয়ে কৃষিকাজ করতে পারছে। সারা বছর কৃষি কাজ সুরক্ষিত রাখার জন্য বাংলার ফসল বিমা যোজনা অন্তর্ভুক্ত করা হয় কৃষকদের। ভর্তুকি সহ যন্ত্রপাতি প্রদান করে কৃষি কাজ ত্বরান্বিত করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।”

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল। ছিলেন আমতা-২ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মাজদুর রহমান। সহকারী সভাপতি আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতি দেলোয়ার হোসেন মিদ্যা। কৃষি অধিকর্তা অরিন্দম বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা।