রেল গেট খুলে মোবাইলে বুঁদ রেলগেটের গেটম্যান! ট্রেন থামিয়ে ডাকলেন চালক

কল্যাণ অধিকারী

রাতে রেল গেট খুলে রেখে কানে হেডফোন গুঁজে মোবাইলে বুঁদ রেলগেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত গেটম্যান। লাল সিগন্যাল দেখে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। শেষমেশ ট্রেন থেকে নেমে গেটম্যানকে ডাকলেন স্বয়ং চালক। বুধবার রাতে আমতা-হাওড়া শাখায় বড়গাছিয়ার কাছে রেল গেটের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জগৎবল্লভপুর থানার অন্তর্গত সন্তোষপুর এলাকার কাছে রয়েছে রেলগেটটি। ওখান দিয়ে হেঁটে ও বাইক নিয়ে পারাপার করেন মানুষজন। আমতা থেকে রাতে সাড়ে সাতটা নাগাদ ছেড়ে আসা ডাউন আমতা-হাওড়া লোকাল বড়গাছিয়া স্টেশনে ঢোকার আগে ঘটনাটি ঘটেছে। রেল গেট খোলা থাকায় সিগন্যাল লাল ছিল। চালক ট্রেন থামিয়ে দেন। দেখেন সাধারণ মানুষ যাতায়াত করছেন। ট্রেন থেকে নেমে আসেন চালক। রেল গেটের পাশেই রেলের ছোট ঘরে রয়েছেন গেটম্যান। তাঁকে ডাকেন। ঘটনায় জমে যান বেশকিছু সাধারণ মানুষ। তাঁদের মধ্যেই কেউ কেউ ভিডিও করা শুরু করে দেন।

গার্ডম্যানকে রেল গেট খুলে রাখার কথা জিজ্ঞেস করেন চালক। আমতা আমতা করে তিনি জানান চেয়ারে বসে কানে হেডফোন দিয়ে মোবাইল দেখছিলেন। কিন্তু তাঁর ভুলেই ঘটে যেতে পারতো বড়সড় দুর্ঘটনা! রেলগেটের দায়িত্বে থাকা গেটম্যানের নাম এন গোবিন্দা। গেটম্যানের নাম ও নম্বর লিখে নেন চালক। তিনি রেলের উদ্ধোত্তন কর্তৃপক্ষকে জানান। ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে। দ্রুত রেল গেট ফেললে ট্রেনটি হাওড়া অভিমুখে যাত্রা করে। রেলের পক্ষ থেকে ওই রেলগেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত গেটম্যানকে কাজ থেকে সরানো হয়েছে এবং তাঁকে তলব করা হয়েছে এমনটাই সূত্রের খবর।

স্থানীয়দের দাবি, এই ধরনের ঘটনা দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয়। লেভেলক্রসিংয়ে গেট খোলা থাকায় সাধারণ মানুষজন পার হচ্ছিল। হতে পারতো বড়সড় দুর্ঘটনা। চালক সচেতন থাকায় রক্ষা মিলেছে।

চিত্রঃ বামদিকে দাঁড়িয়ে ট্রেন, ডানদিকে রক্ষাকর্তা ট্রেন চালক