দার্জিলিং ম্যাল রোডে অবৈধ নির্মাণে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের

কল্যাণ অধিকারী

শৈলশহর দার্জিলিং-এর ম্যালের কাছে বেআইনি নির্মাণ শুরু হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ জমা পড়েছে হাইকোর্টে। এ নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিয়াচপতি অমৃতা সিনহা। ওই নির্মাণে স্থগিতাদেশ দিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে হলফনামা আকারে জমা দিক দার্জিলিং পুরসভা। তারপরেই এ বিষয় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্ট।

ভ্রমণ প্রিয় বাঙালির কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় দার্জিলিং। হিমালয়ের কোলে ছোট্ট এই শহরে বছরভর ঘুরতে যান লাখো পর্যটক। চৌরাস্তা থেকে পায়ে হেঁটে ম্যালে যান। তারপর ম্যালে অনেকটা সময় কাটান। ম্যাল রোডের পাশে গাছ কেটে বেআইনি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে। এমন গুরুতর অভিযোগ পেয়ে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি সিনহার মন্তব্য, ম্যাল রোডে হোটেল গড়ার কোন আইন নেই! হাইকোর্ট তার উপর স্থগিতাদেশ চাপাচ্ছে। যতক্ষণ না দার্জিলিং পুরসভা কোন রিপোর্ট হলফনামা আকারে না জানাচ্ছে ততদিন তা বলবত থাকবে।

পুরসভার আইনজীবী জানিয়েছেন, ম্যাল রোডের ওখানে রাস্তা সংস্কার হচ্ছে। কিছু হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য কিছু নির্মাণ হচ্ছে। দার্জিলিং পুরসভার অর্থ না থাকায় জিটিএ-এর কাছ টাকা নিয়ে এই কাজ করছে দার্জিলিং পুরসভা। এরপরেই বিচারপতি সিনহা জানান, যদি রাস্তা সংস্কার হয় সেক্ষেত্রে হোটেল নির্মাণ-এর প্রশ্ন আসবে কি করে। তাই রিপোর্ট হুলফনামা আকারে দিক দার্জিলিং পুরসভা, তারপর এ বিষয় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, মোট ৩২ আসনের দার্জিলিং পুরসভা। বহুবার দার্জিলিং শহরে লুকিয়েচুরিয়ে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ সামনে এসেছে। ২০২২ সালে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করেই ১৭টিতেই জয়ী হয় পুরসভায় বোর্ড গড়েছিল হামরো পার্টি। তবে বোর্ডের ক্ষমতা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি। পাহাড়ে বেআইনি নির্মাণ চালু হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান রীতেশ পোর্টেলের। এবার দার্জিলিংয়ের ম্যাল রোডের পাশে নির্মাণ নিয়ে দার্জিলিং পুরসভার কাছে রিপোর্ট তলব করেছে উচ্চ আদালত। একি সঙ্গে ওই নির্মাণ কাজে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

pic collected