মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নেমে আসবেন ভাবেননি কাঁথির মানুষজন

কল্যাণ অধিকারী

দিঘায় পৌঁছাতে বারেবারে কনভয়ের গতি থমকালো, কাঁথিতে নেমে কথা বললেন স্থানীয়দের সঙ্গে, গেলেন মরিশদা থানায়

জগন্নাথ মন্দিরে সোনার ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দেওয়ার পরেই গড়াবে রথের চাকা। জগন্নাথ-বলরাম ও সুভদ্রা পৌঁছাবেন মাসির বাড়ি। রথযাত্রার উৎসবে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী বুধবার পৌঁছেছেন দিঘায়। তাঁর হাত দিয়েই রথযাত্রার উদ্বোধন। রথের রসি টানবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দিঘায় পৌঁছাতে বারেবারে কনভয়ের গতি থমকালো, কাঁথিতে নেমে কথা বললেন স্থানীয়দের সঙ্গে। গেলেন মরিশদা থানায়। কথা বলেন রথযাত্রার নিরাপত্তা নিয়েও।

ঠিক ছিল হেলিকপ্টারে পৌঁছাবেন দিঘায়। কিন্তু ওয়েদার খারাপ থাকায় সড়কপথে দিঘা পৌঁছান। বিষয়টি জানাজানি হতেই জাতীয় সড়কের দু’পাশে সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতন। কোনা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ১৬ নং জাতীয় সড়ক ধরে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। রানিহাটি উলুবেড়িয়া বাগনান হয়ে কোলাঘাট। তারপর মেচেদা হয়ে নন্দকুমার রোড। সর্বত্র ছিল মানুষের ভিড়। তবে কাঁথিতে পৌঁছে থমকাতে হল কনভয়। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার অপেক্ষায় তখন হাজারো মানুষের থিকথিকে ভিড়। মুখ্যমন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে আসেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে খুশি হয়েছেন তিনি। তারপর দিঘার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কনভয়। মুখ্যমন্ত্রী নেমে এসে কথা বলবেন এমনটা ভাবতেই পারেননি বাসিন্দারা। এটাই তো প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর পরিচয় বলছেন তৃণমূল কর্মীরা।

দিঘায় পৌঁছে জেলাশাসক ও জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন। এবং রথযাত্রার প্রস্তুতি নিয়েও একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দির পরিদর্শন করে আয়োজনের সমস্তটা দেখে নেবেন। এবং মাসির বাড়ি যেখানে রথ গিয়ে পৌঁছাবে সেখানে পুলিশের নজরদারি কড়াকড়ি। সেখানেও গিয়ে সমস্তটা দেখে নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছাতেই উৎসবের শুভ সূচনা হয়েছে বলছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যেভাবে উন্মাদনা দিঘায় শুরু হয়েছে এমনটা আজ পর্যন্ত দেখেনি দিঘার মানুষ।

শুভেন্দুর এলাকা বলে পরিচিত কাঁথিতে যেভাবে পথে নেমে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী তা অবশ্যই রাজনৈতিক ভাবে রোড শো বলা চলে বলছেন অনেকে। এদিন তিনি মারিশদা থানায় যান। প্রশাসনের নজরদারি বিষয় নিয়েও কথা বলেন। এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে বুধবার হেলিকপ্টারে দিঘায় যাওয়ার সময় ঘাটাল পরিদর্শন করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু ওয়েদার ঠিক না থাকায় হেলিকপ্টার ওড়েনি। তাই সড়কপথে দিঘা পৌঁছেছেন। তবে রথযাত্রা শেষ করে ফিরবার পথে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি দেখে ফিরবেন কলকাতায়।