রাস্তার দুপাশে,বাড়ির আনাচে-কানাচে ঝাঁকড়া হয়ে উঠছে পার্থেনিয়াম চর্মরোগ, হাঁপানির মতো রোগ দোরগোড়ায়
কল্যাণ অধিকারী, এডিটর রাজন্যা নিউজ
গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তার দু’প্রান্তে চোখ রাঙাচ্ছে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম। শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ ,এলার্জি , হাঁপানির মতো রোগ সৃষ্টিকারি ফুলের রেণু বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। নজরদারির কোথাও দেখা মিলছে না। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিনে পার্থেনিয়াম কাটার উদ্যোগ নিতেও দেখা গেল না। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, বকেয়া ১০০দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র থেকে না মেলার কারণে বন্ধ হতে চলেছে ১০০দিনের কাজ। ফলে পার্থেনিয়াম কাটা হচ্ছে না। তবে কাটার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পরিবেশ কর্মীদের একাংশের কথায়, করোনা পরিস্থিতির পর থেকে মানুষের মনে অন্যান্য রোগের বিষয় আতংক অনেকেটাই কমেছে। কীভাবে করোনা থেকে বাঁচবে তা নিয়েই মাথা ঘামিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। করোনা থেকে সরে এসে পার্থেনিয়াম গাছ ধ্বংসের দিকে নজর দিক। শ্যামপুর, উদয়নারায়ণপুর, আমতা সর্বত্র রাস্তার দুপাশে ঝাঁকড়া হয়ে উঠেছে। যে এলাকায় কোনকালেই দেখা দিতে না, সেখানেও জন্মাচ্ছে পার্থেনিয়াম। মনে রাখতে হবে এর ফুল ফোটে তখন মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
চিকিৎসকদের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে চর্মরোগ ,এলার্জি , হাঁপানির মতো রোগ বিষয়কে মানুষজন হালকা ভাবে নিয়েছে। বাড়ির আনাচে-কানাচেতে জন্মানো বিষাক্ত পার্থেনিয়াম কাটার কথা বা প্রশাসনকে বলাটুকু করেনি। এতে করে নজরের সামনেই বিপদকে পাহারা দিচ্ছে। একি মত পরিবেশ কর্মীদের একাংশের। চিত্রক প্রামাণিক, অনির্বাণ সেনাপতি, দেবরাজ আরু, প্রদীপ রঞ্জন রীত প্রত্যেকেই পরিবেশ রক্ষার কাজ করে চলেছেন। ওঁদের মতে, পার্থেনিয়াম গাছ খুবই বিষাক্ত। বিশেষ করে যখন ফুল ফোটে তখন এই গাছ মারাত্মক হয়ে ওঠে। এগুলো ধ্বংসের বিষয় নজর দিতেই হবে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে গাছ বসিয়েছেন প্রশাসন থেকে পরিবেশ কর্মীরা। কিন্তু পার্থেনিয়াম কাটার বিষয় বা ধ্বংসের চিত্র দেখা মিলল না। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের নেতাদের একাংশের মত, ১০০দিনের কাজের টাকা বকেয়া রেখেছে কেন্দ্র। যার ফলে উদ্যমে কাজ হচ্ছে না। একশো দিনের কাজে টাকার দাবিতে তৃণমূল রাস্তায় নেমেছে। প্রাপ্য টাকা মিললে সমস্ত ব্লক স্তরে পার্থেনিয়াম কাটার উদ্যোগ নেওয়া হবে।